বিনোদন

ওয়াশিং পাউডারের বিজ্ঞাপনে আমব্রিন

বিপিএলের সদ্য সমাপ্ত আসরে উপস্থাপনায় ছিলেন লাক্স তারকা আমব্রিন। সবকিছু ঠিকভাবে চললেও ফাইনাল ম্যাচের আগে আমব্রিনকে উপস্থাপনা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন চ্যানেল নাইনের অনুষ্ঠান প্রধান তানভীর খান। আমব্রিন বেশ কিছু গণমাধ্যমে এই অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, ‌‘অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি হইনি বলে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’ এই নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। তবে বিপিএল বিতর্কের সব রেশ পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতেই বেশি মনযোগী। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনের কাজ শেষ করলেন তিনি। এটি দিয়ে প্রথমবারের মতো ওয়াশিং পাউডারের মডেল হলেন এই লাক্স তারকা। বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছেন আলম আসাদ মিন্টু।আমব্রিন জানান, ‘ফিনিস কোম্পানির ফিন ডিটারজেন্টের নতুন বিজ্ঞাপনে শুটিং শেষ করলাম। ঢাকার অদুরে গাজীপুরে বিজ্ঞাপনটির শুটিং হয়েছে।’এ প্রসঙ্গে আমব্রিন আরো বলেন, ‘গাজীপুরে খুব ঠান্ডা ছিল। পাতলা কাপড় পরে শুটিং করতে হয়েছিল। সবাই গরম কাপড় পরে পাশে আছে আমিই শুধু ভেজা কাপড় নাড়াচাড়া করছিলাম। অনেক কষ্টে শটগুলো দিয়েছি। পরিচালক মিন্টু ভাই খুব খুশি হয়েছেন এটাই আমার তৃপ্তি। আশা করছি বিজ্ঞাপনটি ভালো লাগবে দর্শকদের।’ জানা গেছে, বিজ্ঞাপনটির পোস্ট প্রেডাকশনের কাজ কলকাতায় চলছে। শিগগিরই বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হবে। প্রসঙ্গত, ওয়াশিং পাউডারের এই বিজ্ঞাপনটিতে আমব্রিনের স্থলে কাজ করার কথা ছিল অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টির। কিন্তু তিনি কয়েকবার শিডিউল ফাঁসিয়ে শেষ পর্যন্ত কাজটি করেননি।তুষ্টির এমন অশোভন আচরণে বিপাকে পড়েন বিজ্ঞাপনটির নির্মাতা আলম আসাদ মিন্টু। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘কয়েক দফায় তুষ্টি বিজ্ঞাপনটিতে কাজের জন্য শিডিউল দেন। কিন্তু সর্বশেষ ২১ ডিসেম্বর কাজের আগের দিন থেকেই তুষ্টির সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে জানতে পারলাম সে বিবিসি মিডিয়ার একটি নাটকের শুটিংয়ে অংশ নিতে কক্সবাজার চলে গেছে। তার এমন আচরণে আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে সম্পর্ক আর বিশ্বাসের। সিনিয়ররা এমন কথার বরখেলাপি হলে নতুনরা কী করবে?’এ বিষয়ে জানতে ২২ ডিসেম্বর তুষ্টির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি বিজ্ঞাপনটি করব না এটা মোবাইলে মেসেজ দিয়ে পরিচালককে জানিয়েছি।’ কবে কখন মেসেজ পাঠিয়েছিলেন জানতে চাইলে কোনো জবাব না দিয়ে শুটিংয়ের অজুহাত দেখিয়ে ফোন রেখে দেন তিনি।মেসেজ সম্পর্কে নির্মাতা মিন্টু বলেন, ‘যেখানে রাত পোহালেই আমার বিজ্ঞাপনের শুটিং সেখানে ভোর রাতে মেসেজ পাঠালে কীভাবে সব সামাল দেব আমি। ২১ ডিসেম্বর শুটিং হবে এটা তুষ্টি নিজেই ঠিক করে দিয়েছিলেন। আমি আমার ক্লায়েন্টকে তার সময় মতোই সময় দিয়েছি। কিন্তু তুষ্টি তার কথা রাখেননি।’ এই ঘটনার পর তুষ্টিকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে মিডিয়া পাড়ায়। সংশ্লিষ্টরা অনেকেই তুষ্টির এমন আচরণের জন্য জবাবদিহিতা দাবি করেছেন। তারা বলেন, জবাবদিহিতা নেই বলেই শিল্পীরা শিডিউল ফাঁসানোর সাহস করেন। এর বিরুদ্ধে সবার সম্মিলিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।নানা সময়ে নাটক-চলচ্চিত্রের শিডিউল ফাঁসানোর ঘটনা ঘটলেও বিজ্ঞাপনের শিডিউল ফাঁসানোর ঘটনা সম্ভবত এটাই প্রথম।এনই/এলএ

Advertisement