প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে আরও চার হাজার ৭১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু রাশিয়াতেই মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৭২ জনের। একই সময়ে বিশ্বে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ২০ হাজার ৯৮ জন। সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৬৮ হাজার ৮৮১ জন।
Advertisement
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে পাঁচ হাজার ৯১৫ জনের মৃত্যু হয়। ওই সময়ে আক্রান্ত হন তিন লাখ ৭৪ হাজার ২৭৪ জন।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ কোটি ৪৪ লাখ ২৫ হাজার ১৩৯ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯৯ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২২ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার ৩১ জন।
Advertisement
করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এ পর্যন্ত চার কোটি ৬৩ লাখ ১২ হাজার ৭৮২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন সাত লাখ ৫৬ হাজার ৩৬২ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজার ৬১৪ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন তিন কোটি ৪১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৮৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৫৪ হাজার ৭৪৩ জন। সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি ৩৫ লাখ ৫৯ হাজার ৬৪৯ জন।
তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ১৭ লাখ ২৯ হাজার ৭৬৩ জনে। এর মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ পাঁচ হাজার ৬৮২ জন। করোনা থেকে সেরে উঠেছেন দুই কোটি নয় লাখ সাত হাজার ২২৪ জন।
এ তালিকায় পরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, ইরান, আর্জেন্টিনা, স্পেন, কলম্বিয়া ও ইতালি।
Advertisement
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৯ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ৬৯২ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৮২৩ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ লাখ ৩১ হাজার ৩২৭ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ ভাইরাসে দেশটিতে প্রথম মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।
সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়।
এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের করোনা পরিস্থিতি ফের খারাপ হয়।
এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ ও শিশুদেরও টিকাদান শুরু করেছে।
ইএ/জেআইএম