কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনসহ চারজনের সাতদিনের রিমান্ড চলছে। এ ঘটনায় যারা তাকে পেছন থেকে ইন্ধন জুগিয়েছেন তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
Advertisement
৯৯৯ নম্বরে কল করে মণ্ডপে কোরআন পাওয়ার ঘটনা জানানো ইকরামকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে নেতৃত্ব দিচ্ছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি। তার সঙ্গে আছে একদল চৌকস কর্মকর্তা।
রোববার (২৪ অক্টোবর) প্রথমদিন ইকরাম ও ইকবালকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও ঘটনার নেপথ্যে কারা রয়েছেন সে ব্যাপারে তারা এখনো মুখ খোলেননি বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এটি স্পর্শকাতর একটি বিষয়। আমরা প্রতিটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে এগোনোর চেষ্টা করছি। ঘটনার গভীরে কাদের ইন্ধন আছে, কতজন সম্পকৃত রয়েছেন তা খুঁজে বের করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে।
Advertisement
এর আগে শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপার আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। পরে আদালত তাদের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকার সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবালকে আটক করে পুলিশ-। পরে শুক্রবার দুপুরে তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে এনে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
কুমিল্লা মহানগরীর নানুয়ার দিঘিরপাড় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা নিয়ে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে গত ১৩ অক্টোবর। এ ঘটনায় কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় নয় মামলায় ৭৯১ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় পাঁচটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি এবং দাউদকান্দি ও দেবীদ্বার থানায় একটি করে মামলা হয়েছে।
৯১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলায় ৭০০ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৮ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
Advertisement
জাহিদ পাটোয়ারী/এসআর/জিকেএস