জাতীয়

পৌর নির্বাচনের ১১৮৪টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে তিন হাজার ৪০৩টি কেন্দ্রের মধ্যে এক  হাজার ১৮৪টি ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এই তালিকা পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়। সূত্র জানায়,  ওই তালিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে খুলনা বিভাগ। শতকরা হিসাবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ৩৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা খুলনা বিভাগের ৪৭১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯৫টিই ঝুঁকিপূর্ণ, যা শতকরা ৪১ দশমিক ৪০ শতাংশ। ঝুঁকি বিবেচনায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রংপুর বিভাগের ৩০৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১৮টি ঝুঁকিপূর্ণ, যা শতকরা ৩৮ দশমিক ৮০ ভাগ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা বরিশাল বিভাগের ১৬৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬৩টি ঝুঁকিপূর্ণ, যা শতকরা ৩৭ দশমিক ৭০ ভাগ। চতুর্থ অবস্থানে থাকা চট্টগ্রাম বিভাগের ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬৯টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, যা শতকরা ৩৫ দশমিক ২০ ভাগ। পঞ্চম অবস্থানে থাকা ঢাকা বিভাগের ৯৯১টি কেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ৩৪৮টি, যা শতকরা ৩৫ ভাগ। ৬ষ্ঠ অবস্থানে থাকা রাজশাহী বিভাগের ৮০১টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৪৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, যা শতকরা ৩০ দশমিক ৭০ ভাগ। এবং সবচেয়ে কম ঝুঁকিতে থাকা সিলেট বিভাগের ১৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৫টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, যা শতকরা ২৩ দশমিক ৮০ ভাগ। এসব কেন্দ্রে ঝুঁকির কারণ হিসেবে পাঁচটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো-  বিএনপি ও জামায়াত-শিবির নেতা কর্মীরা তাদের প্রার্থীদের নির্বাচনে জয়লাভ করানোর উদ্দেশ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে নাশকতা/গোলযোগ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাতে পারে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও একচেটিয়া ভোট লাভের চেষ্টায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমর্থিত প্রার্থীরা কতিপয় কেন্দ্রে গোলযোগ সৃষ্টি করতে পারে, নির্বাচনকে বিতর্কিত কিংবা রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে বিএনপি-জামায়াত গোলযোগ সৃষ্টি করতে পারে, ভোট গ্রহণ পরবর্তীতে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কিংবা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এলাকায় গোলযোগ করতে পারে এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীর প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এলাকায় গোলযোগ সৃষ্টি করতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র  সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, কমিশনের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র বলতে কিছু নেই। এগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ৮ জন অস্ত্রধারীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২০ জন সদস্য মোতায়েন থাকবে। তিনি  আরো বলেন, পৌর নির্বাচনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাব, পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও কোস্টগার্ড মোতায়েন করা হবে। এছাড়া জুডিশিয়াল ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন।এইচএস/জেডএইচ/এমএস

Advertisement