জাতীয়

সংক্রমণ কমছে, ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টানে ২২ জন

করোনার সংক্রমণ কমে আসায় বিদেশফেরত যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো কমছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শুধু হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ৪০টি ফ্লাইটে ছয় হাজার ৩০৭ জন যাত্রী ফিরেছেন। তাদের মধ্যে মাত্র ২২ জনকে প্রাতিষ্ঠাানিক ও বাকিদের হোম কোয়োরেন্টানে পাঠানো হয়।

Advertisement

করোনার শুরু থেকেই সতকর্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নৌবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও রেলস্টেশনে বিদেশফেরত সকল যাত্রীকে হেলথ কার্ড পূরণের পাশাপাশি কোথাও থার্মাল স্ক্যানার, কোথাও হ্যান্ড হেল্ড স্ক্যানারের মাধ্যমে জ্বর পরিমাপসহ স্বাস্থ্য পরীক্ষা অব্যাহত রয়েছে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর থেকে রোববার (২৩ অক্টোবর) পর্যন্ত সর্বমোট ২৯ লাখ ৬১ লাখ ৬৪২ জন যাত্রীর হেলথ স্ক্রিনিং সম্পন্ন হয়েছে।

তাদের মধ্যে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ ২২ লাখ ৫৭ হাজার ৪৪ জন, স্থলবন্দরে পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৯৮২ জন, সমুদ্রবন্দরে এক লাখ ১০ হাজার ১২৭ জন ও রেলস্টেশনে সাত হাজার ২৯ জনের হেলথ স্ক্রিনিং করা হয়।

গত ২৪ ঘণ্টায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের বিভিন্ন বন্দরে মোট সাত হাজার ৪২৫ জনের হেলথ স্ক্রিনিং করা হয়। তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ছয় হাজার ৪৮৩ জন, স্থলবন্দরে ৭৪৩ জন ও সমুদ্রবন্দরে ১৯৯ জন।

Advertisement

শাহজালাল বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ জানান, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিকালে বিদেশফেরত যাত্রীদের অধিকাংশকেই বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হতো। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দুই ডোজ করোনার টিকা নিয়ে আসা যাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় হাতেগোনা কিছু যাত্রী ছাড়া সবাই হোম কোয়ারেন্টানে যাচ্ছেন।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত এ বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৯ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৪ যাত্রীর হেলথ স্ক্রিনিং করা হয়। তাদের মধ্যে ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ৭৭৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন ও ৮৬ হাজার ৬১৫ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।

এমইউ/বিএ/এমএস

Advertisement