২০৬০ সালের মধ্যে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ শূন্যে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরব। একশটির বেশি দেশ মনুষ্য সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৈশ্বিকভাবে চেষ্টা করছে। এখন সেই তালিকায় যোগ দিলো মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
শনিবার সৌদি গ্রিন ইনিশিয়েটিভ ফোরামে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ২৬ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগে এমন ঘোষণা দিলো সৌদি।
তবে শুধু নিজ দেশের মধ্যেই কার্বন নিঃসরণের কথা বলছে তারা। তেল ও গ্যাসে দেশটি বিনিয়োগ কমাবে কিনা, অথবা জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদন থেকে কীভাবে সরে আসবে সে ব্যাপারে কোনো দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
এখনো সৌদি আরবের অর্থনীতির প্রধান উৎস হচ্ছে জ্বালানি রপ্তানি। যদিও বিশ্ব এখন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা থেকে ধীরে ধীরে সরে আসার চেষ্টা করছে। দেশটি চলতি বছর শুধুমাত্র তেল থেকে ১৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার আয় করার পূর্বাভাস দিয়েছে।
Advertisement
সৌদি আরবে ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ কোটি গাছ লাগানো এবং পতিত ভূমির বিশাল অংশে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স সালমান। যার মাধ্যমে ২০ কোটি টন কার্বন নিঃসরণ কমানো সম্ভব হবে এবং রাজধানী রিয়াদ আরও বেশি টেকসই হবে।
এর আগে রাশিয়া এবং চীনও ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয়। এখন সে তালিকায় নাম লেখালো শীর্ষ জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশটি। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
সৌদি আরব বিশ্বের দূষণকারী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে। দেশটি বৈশ্বিক চেষ্টার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে মিথেন গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনার কথাও জানিয়েছে। জলবায়ু সম্মেলন কপ২৬-এর সভাপতি অলোক শর্মা সৌদির এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এমএসএম/টিটিএন/জেআইএম
Advertisement