৩ রানে ৫ উইকেট, ২০১৪
Advertisement
মুত্তিয়া মুরালিধরনের ছায়ায় পড়ে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে শ্রীলঙ্কার হয়ে খেলাই হয়নি রঙ্গনা হেরাথের। তবে মুরালি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার পর সুযোগ পেতেই নিজের দ্যুতিতে বিশ্ব মাতাতে সময় নেননি এই বাঁ-হাতি অফ-স্পিনার।
অল্প কদিনেই হয়ে ওঠেন লঙ্কান কিংবদন্তিদের একজন। সে পথে হাঁটতে কত ম্যাচেই না দুর্দান্ত বোলিং করেছেন হেরাথ। তন্মধ্যে একটি ম্যাচের কথা হয়তো কখনো ভুলতে পারবেন না তিনি। সেটা ২০১৪ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার ওই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।
গ্রুপ পর্বের ওই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে তুলতে পারে মাত্র ১১৯ রান। সহজেই যে লক্ষ্য ছুঁতে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। তবে চট্টগ্রামে হেরাথ সেদিন এমন দুর্ভেদ্য হয়ে ধরা দিলেন যে, নাভিঃশ্বাস ছুটে গেল কিউই ব্যাটারদের।
Advertisement
চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসে মার্টিন গাপটিলকে রানআউট করা দিয়ে শুরু। এরপর ৫ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ড ব্যাটিং লাইনআপ রীতিমতো ধসিয়ে দিলেন তিনি। সেটাও ২১ বলে মাত্র ৩ রান খরচায়।
গাপটিলকে রানআউট করার পর ওই ওভারের শেষ বলে ঘূর্ণিতে ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে বোকা বানিয়ে কুমার সাঙ্গাকারার স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার বানান হেরাথ। শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক।
নিজের পরের ওভারে আরেক কিউই ভরসা রস টেলরকে খালি হাতে সাজঘরের পথ ধরিয়ে দেন তিনি। এবার ফ্লাইটে টেলরকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তিনি। পরের বলে আবারো হেরাথ জাদু। এবার জিমি নিশামকে ওই শূন্য রানেই বোল্ড করে শ্রীলঙ্কাকে ফেবারিটের পাল্লায় বসিয়ে দেন হেরাথ।
তিন ব্যাটসম্যানকে শূন্য রানে সাজঘরে পাঠানোর পরও উইকেট নেয়ার ক্ষুধা যেন কমেনি হেরাথের। টানা তৃতীয় ওভার বোলিংয়ে এসে এবার তাই লুক রনকিকে ম্যাককালাম-টেলরদের পথ ধরালেন তিনি। টেলরের মতো স্পিনে বোকা বনে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে রনকির বিদায়।
Advertisement
নিজের শেষ ওভারেও আরেকটি উইকেট তুলে নেন হেরাথ। এবার টেল এন্ডার ট্রেন্ট বোল্টকে বানান মাহেলা জয়াবর্ধনের ক্যাচ। তাতেই ৩ রানে ৫ উইকেট নেয়ার অবিস্মরণীয় এক বোলিং ফিগারের মালিক বনে যান বর্তমানে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং পরামর্শক হেরাথ।
নিউজিল্যান্ড ব্যাটারদের নাভিঃশ্বাস ছুটে যাওয়ার দিন মাত্র ১১৯ রান করেও শ্রীলঙ্কা ম্যাচটা জিতেছিল ৫৯ রানের বড় ব্যবধানে। হেরাথে পর্যদুস্ত ব্ল্যাকক্যাপসরা সেদিন অলআউট হয়ে গিয়েছিল মাত্র ৬০ রানেই।
এসএস/আইএইচএস