প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে আরও পাঁচ হাজার ৯১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৭৪ হাজার ২৭৪ জন। সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ১৫ হাজার ৭৮৯ জন।
Advertisement
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে আট হাজার ৫৬৮ জনের মৃত্যু হয়। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হন চার লাখ ৮৬ হাজার ১১৩ জন।
রোববার (২৪ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ কোটি ৪১ লাখ সাত হাজার ৬৪৬ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৯ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭৩ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২২ কোটি ১১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৯৫ জন।
Advertisement
করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এ পর্যন্ত চার কোটি ৬২ লাখ ৯৪ হাজার ২১০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন সাত লাখ ৫৬ হাজার ২০৫ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন কোটি ৬০ লাখ ৩৩ হাজার ৮৮৬ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন তিন কোটি ৪১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৪৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৫৪ হাজার ৩০১ জন। সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি ৩৫ লাখ ৪০ হাজার ৯৫০ জন।
তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ১৭ লাখ ২৩ হাজার ৫৫৯ জনে। এর মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ পাঁচ হাজার ৫৬৯ জন। করোনা থেকে সেরে উঠেছেন দুই কোটি আট লাখ ৯৫ হাজার ৮৮৬ জন।
এ তালিকায় পরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, ইরান, আর্জেন্টিনা, স্পেন, কলম্বিয়া ও ইতালি।
Advertisement
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৯ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ৪১৭ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৮১৭ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৯৪১ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ ভাইরাসে দেশটিতে প্রথম মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।
সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়।
এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের করোনা পরিস্থিতি ফের খারাপ হয়।
এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ ও শিশুদেরও টিকাদান শুরু করেছে।
ইএ/এমএস