জাতীয়

টেকসই উন্নয়নে নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের তাগিদ

বাংলাদেশের উন্নয়নকে অধিকতর কার্যকর এবং টেকসই করতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নাগরিক সংগঠনগুলাের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য বলে মত উঠে এসেছে।

Advertisement

শনিবার (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ এনজিও-সিএসও কো-অর্ডিনেশন প্রসেস (বিডিসিএসও প্রসেস)-এর বার্ষিক সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ভার্চুয়াল সম্মেলনে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের প্রায় ৬০০ এনজিও-সিএসও প্রতিনিধি অংশ নেন।

তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের প্রথম দিনের অধিবেশনের শিরােনাম ছিল, স্থানীয় নাগরিক সমাজ: কেন এবং কিভাবে তৃতীয় একটি খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে?

Advertisement

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান বলেন, উন্নয়ন হয় স্থানীয় পর্যায়ে। সে কারণে স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারের পাশাপাশি উন্নয়নকে টেকসই করতে স্থানীয় নাগরিক সমাজকে সম্পৃক্ত করতে হবে। স্থানীয় এনজিও-সিএসওগুলাে কিন্তু স্বচ্ছ ও জবাবদিহির সঙ্গে কাজ করছে। এক্ষেত্রে আমাদের আরও অনেক কিছু কাজ করতে হবে। শুধু নিজের প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের কথা চিন্তা না করে, সবার মর্যাদাপূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

এনজিও বিষয়ক ব্যুরাের মহাপরিচালক কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, অনেক সীমাবদ্ধতা স্বত্ত্বেও বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ে প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নে এনজিওগুলাে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সরকারের পাশাপাশি এনজিও-সিএসওগুলাে উন্নয়নের ক্ষেত্রে পরিপূরক ভূমিকা পালন করছে। নাগরিক সমাজ একদিকে যেমন নাগরিকের কাছে সরকারের বার্তা পৌঁছায়, অন্যদিকে নাগরিকের কথাগুলােও সরকারের কাছে তুলে ধরে। নাগরিক সমাজেরও নিজেদের যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে হবে, গড়ে তুলতে হবে সক্ষমতা।

কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ডেভেলপমেন্ট ইফেকটিভনেস উইংয়ের উপ-সচিব আবুল কালাম আজাদ।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিইউপির ফয়জুল্লাহ চৌধুরী, দুর্যোগ ফোরামের নাইম গওহর ওয়াহরা, রূপান্তরের রফিকুল ইসলাম খােকন, উদয়ন বাংলাদেশের শেখ আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

Advertisement

এসএম/এমএইচআর/জেআইএম