আন্তর্জাতিক

কাজে ফিরতে ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করছে সিঙ্গাপুর

কর্মক্ষেত্রে ফিরতে ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করছে সিঙ্গাপুর। আগামী বছরের জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে সব কর্মীদের কাজে ফিরতে হলে অবশ্যই ভ্যাকসিনের দুই ডোজ গ্রহণ করতে হবে অথবা কাজে ফেরার ২৭০ দিন আগে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে হবে।

Advertisement

নতুন এই নিয়মের কারণে যারা ভ্যাকসিন নেবেন না তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ফেরার আগে করোনার পরীক্ষা করাতে হবে এবং নেগেটিভ রিপোর্ট এলে তারা কাজে যোগ দিতে পারবেন। করোনা পজিটিভ নাকি নেগেটিভ তা জানতে অ্যান্টিজেন টেস্টের খরচ তাদের নিজেদেরই বহন করতে হবে। ২৪ ঘণ্টা বা একদিন পর্যন্তই এর বৈধ্যতা থাকবে। অর্থাৎ প্রায় প্রতিদিনই করোনার টেস্ট করাতে হবে।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য এবং শিল্পমন্ত্রী গ্যান কিম ইয়ং বলেন, ইতোমধ্যেই সিঙ্গাপুরে ৯৬ শতাংশ কর্মী ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে। অর্থাৎ এরা সবাই ভ্যাকসিনের দুই ডোজ গ্রহণ করেছেন। দেশটিতে ১ লাখ ১৩ হাজার কর্মী এখনও ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি। এদের মধ্যে ১০ শতাংশের বেশি মানুষ বয়স্ক।

এর আগে গত জুনে দেশটির সরকার ঘোষণা দেয় যে, করোনাভাইরাসের সঙ্গে বেঁচে থাকার কৌশলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে তারা। জুন থেকেই করোনাভাইরাসের বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল করতে শুরু করে সিঙ্গাপুর। কিন্তু বিধি-নিষেধ শিথিল হতে থাকায় সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ফলে সবকিছু পুনরায় চালু করার চিন্তা স্থগিত করা হয় এবং কিছু বিধি-নিষেধ নতুন করে জারি করা হয়।

Advertisement

এরইমধ্যে সিঙ্গাপুর বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ফেস মাস্ক ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ওয়ার্ক ফ্রম হোম, বাড়িতে তৈরি খাবার খাওয়া, ঘোরাঘুরি সীমিত করে ফেলাসহ বেশ কিছু বিষয় তারা আয়ত্ত্ব করে ফেলেছে। সিঙ্গাপুরে ভ্যাকসিনের হার বেশি হওয়ায় সবকিছু আরও সহজ হয়েছে।

সিঙ্গাপুরে ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না এবং সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অন্য দুটি টিকার দুই ডোজ নিলেও সিনোভ্যাকের তিন ডোজ গ্রহণ করতে হচ্ছে।

টিটিএন/জেআইএম

Advertisement