জাতীয়

দাবি পূরণে আশাবাদী প্রকৃচি’র সদস্যরা

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহাল রাখাসহ ৫ দফা দাবি পূরণে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি। কমিটির সদস্যরা বলছেন, বৈষম্যের বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে দাবি দাওয়া পূরণে হস্তক্ষেপ করবেন প্রধানমন্ত্রী।বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান এবং সাড়ে ১১টার দিকে ফিরে আসেন। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে খামার বাড়ি কৃষি ইন্সটিটিউট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে সার্ক এগ্রিকালচারাল সেন্টারের সামনের প্রধান সড়কে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন প্রকৃচি-বিসিএস এর সদস্যরা।ডিএমপি’র তেজগাঁও বিভাগের এডিসি ওয়াহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাদের সামনে বেড়িগেট দিয়ে দাঁড়িয়ে যান। পরে প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি’র সদস্যরা রাস্তায় অবস্থান নেন। সেখানেই বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মিছিল করতে থাকেন। রাস্তা ব্লক করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করায় ওই সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।পরে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে লিখিত স্মারকলিপি নিয়ে যান প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয়র কমিটির ৬ প্রতিনিধি। রাস্তা বন্ধ করে কর্মসূচী চালানোর কারণে পৌনে এক ঘন্টাব্যাপী যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের অনুরোধে সাড়ে ১১টায় রাস্তা ছেড়ে যান তারা।প্রকৃচি কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সচিব এবং বিসিএস সমন্বয় কমিটির মহাসচিব মো. ফিরোজ খান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা ৫টি বিষয়ে সমন্বয় করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ হস্তক্ষেপ কামনা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে থেকে আমাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করছি দাবি দাওয়াগুলো বিবেচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী।প্রকৃচি কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটির সচিব ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব প্রফেসর ইকবাল আর্সলান বলেন, সরকারি কর্মকর্তদের আর্থিক বিবেচনায় নতুন বেতন স্কেল প্রশংসা করার মতো। তবে ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলের কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। যা বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মর্যাদা ক্ষুন্ন এবং বৈষম্য তৈরি করবে। এজন্যই আমরা বেতনস্কেল জারির আগেই এসব অসঙ্গতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপির মাধ্যমে জানিয়েছি। আশা করছি বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটির দাবি দাওয়া গুলো হলো-বেতনস্কেলে সিলেকশন ও টাইমস্কেল পুনর্বহাল, সরকারি প্রথম শ্রেনী চাকুরীতে যোগদানের ক্ষেত্রে ক্যাডার-ননক্যাডার বৈষম্যের সিদ্ধান্ত বাতিল, ইউএনও কে কর্তৃত্ব প্রদানমূলক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অফিস স্মরক অবিলম্বে বাতিল, আন্ত: ক্যাডার বৈষম্য নিরসণ, সকল ক্যাডার ও সার্ভিসে পদোন্নতির সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সুপার নিউমারারি পদ সৃজন করা এবং নিজস্ব ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিস বহির্ভূত সকল ধরণের প্রেরণ বাতিল।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাওয়া অন্য সদস্যরা হলেন, প্রকৃচি কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটি এবং ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটের সচিব প্রকৗশলী মো. আব্দুস সবুর, প্রকৃচি কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটির মহাসচিব কৃষিবিদ মোবারক আলী, প্রকৃচি কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটির সচিব ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব প্রফেসর ইকবাল আর্সলান।জেইউ/এআরএস/আরআইপি

Advertisement