দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ। টিভি নাটক, চলচ্চিত্রে অভিনয়, মডেলিং ও উপস্থাপনার পাশাপাশি নাটক নির্মাণেও তিনি সুনাম কুড়িয়েছেন। বর্তমানে ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। শোবিজে তার দেখা নেই অনেকদিন হলো।
Advertisement
একসময়ের সাড়া জাগানো এই তারকার জন্মদিন আজ। এদিনে তিনি রয়েছেন বিদেশের মাটিতে, অস্ট্রেলিয়ায়। তবে সঙ্গে আছে স্ত্রী ইশরাত ও দুই সন্তান আরাধ্য এবং অরিত্র। ব্যবসা ও পরিবার নিয়ে বেশ সুখেই কাটছে এ অভিনেতার জন্মদিন।
নোয়াখালী জেলায় জন্ম নেওয়া এ অভিনেতা ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বিনোদন সাংবাদিক হিসেবে। নব্বই দশক থেকে কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের অনুপ্রেরণায় অভিনয় জীবন শুরু করেন।
মাহফুজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতায় পড়াশোনাকালীন পত্রিকায় লিখতেন। সেই সুবাদে ইমদাদুল হক মিলনের পরামর্শে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কোন কাননের ফুল’-এ অভিনয় করার মধ্য দিয়ে টিভি নাটকে নাম লেখান। এরপর হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত ধারাবাহিক ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে বাকের ভাইয়ের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেয়া মতি চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পান। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
Advertisement
এরপর তিনি হুমায়ুন আহমেদের বহু নাটকে অভিনয় করে দর্শক মাতিয়েছেন। অন্য আরও অনেক নামি দামি নির্মাতার সঙ্গে জনপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন।
এছাড়াও হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দুই দুয়ারী’, মহাম্মদ হান্নানের ‘ভালবাসি তোমাকে’, চাষী নজরুল ইসলামের ‘মেঘের পরে মেঘ’, নার্গিস আক্তারের ‘চার সতীনের ঘর’ ও তৌকির আহমেদের ‘জয়যাত্রা’, শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘লাল সবুজ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন।
বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবেও বেশ সুপরিচিত। অভিনয়, মডেলিংয়ের বাইরে পরিচালক হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার প্রথম পরিচালিত নাটক ‘তাহারা’। এরপর ‘আমাদের নুরুল হুদা’ ধারাবাহিক নাটকটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন। এরপর অনেক নাটক পরিচালনা করেন তিনি।
নাট্য প্রযোজক হিসেবেও রয়েছে তার সুখ্যাতি। ‘জিরো ডিগ্রী’ তারই প্রযোজিত চলচ্চিত্র।
Advertisement
বর্ণিল ক্যারিয়ারে দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, অনেক বেসরকারি পুরস্কার পেয়েছেন। ২০০৫ সালে ‘লাল সবুজ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় জন্যে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন।
এলএ/এএসএম