মতামত

এখনই লাগাম টেনে ধরুন

পৌরসভা নির্বাচন যাতে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সেজন্য সব মহল থেকেই নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ রয়েছে। এটা কমিশনের দায়িত্বও। বলা যায় বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন  চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা  দিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাদের দায়িত্ব কতোটা পালন করতে পারবে এ নিয়ে এরই মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। নির্বাচনের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে সংঘাত-সহিংসতা ততোই বাড়ছে। বিপরীতে কমিশন তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। কমিশনের দৃঢ় মনোভাবের প্রতিফলনও দেখা যাচ্ছে না খুব একটা। এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণাকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে আচরণ বিধি লঙ্ঘনসহ বেশকিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। কোথাও দলীয় অন্তর্কোন্দল, কোথাও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটেছে।  এ অবস্থা চলতে থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান কঠিন হয়ে পড়বে। এ জন্য এখনই লাগাম টেনে ধরতে হবে। আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ যে কোনো ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে কমিশনকে। প্রথমবারের মত দলীয়ভাবে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকারের এই স্তরে। পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করছেন। যদিও স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করার সুযোগ রয়েছে। কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্দলীয়ভাবে নির্বাচন করছেন। দলীয় নির্বাচন হওয়ার প্রেক্ষাপটে নতুন নতুন সমস্যার উদ্ভব হচ্ছে। অনেক স্থানে দলীয় আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাও ঘটছে। কিন্তু দলীয় প্রার্থীর কাছে নির্বাচন কমিশনকে অনেকটা অসহায় মনে হচ্ছে। কমিশন এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের কাছেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু রাজনৈতিক দল যদি ব্যবস্থা নেয়ও সেটা হবে সাংগঠনিক। প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে কমিশনকেই। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখানোর সুযোগ নেই।পৌরসভা নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ একটি উৎসবের আমেজ সৃষ্টি করেছে। এটি ধরে রাখতে হবে। প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। ভবিষ্যতের রাজনীতিও কোন দিকে মোড় নেবে সেটিও নির্ভর করছে পৌরসভা নির্বাচন কতোটা সুষ্ঠূ অবাধ ও নিরপেক্ষ হল তার ওপর। সুষ্ঠূ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনেকগুলো নিয়ামক রয়েছে। প্রশাসন, ভোটার এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকদের  সম্মিলিত প্রয়াস ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। এ জন্য সবাইকে তাদের স্বীয় ভূমিকা পালনে দায়িত্বশীল হতে হবে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা সবার উপরে।এইচআর/আরআইপি

Advertisement