দেশজুড়ে

সিলেটে সহপাঠীর হাতে কলেজছাত্র খুন, বন্ধ পাঠদান

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজে সহপাঠীর ছুরিকাঘাতে আরিফুল ইসলাম রাহাত (১৮) নামে এক শিক্ষার্থী খুন হয়েছেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে পুলিশ।

রাহাত দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পুরাতন তেতলি এলাকার সুরমান আলীর ছেলে ও দক্ষিণ সুরমা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।

এ ঘটনায় সামসুদ্দোহা সাদি (২০) নামের এক ছাত্রলীগকর্মীর নাম উঠে এসেছে। তিনি একই কলেজের ছাত্র এবং স্থানীয় ছাত্রলীগের কাশ্মির গ্রুপের কর্মী বলে জানা গেছে।

Advertisement

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাহাত প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার উদ্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় চাচাতো ভাই রাফি তার সঙ্গে ছিলেন। যাওয়ার পথে চাচাতো ভাইকে কলেজ গেটে রেখে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে কলেজ ক্যাম্পাসে যান রাহাত। কলেজ থেকে বের হওয়ার সময় সাদি ও তানভীর মোটরসাইকেলযোগে এসে পেছন থেকে রাহাতের ডান পায়ের উরুতে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। রাহাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পর কলেজে তিন দিনের জন্য পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে পরীক্ষা চলবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কলেজটির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। এছাড়া খুনিকে গ্রেফতারের জন্য দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে, রাহাত হত্যার ঘটনায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক আধা ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ স্থানীয় এলাকাবাসী ও কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন তারা। এ সময় রাহাতের হত্যাকারীকে গ্রেফতারের দাবি জানান। পরে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদারের আশ্বাসের ভিত্তিতে আধাঘণ্টা পর বিকেল সাড়ে ৪টায় অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।

Advertisement

এ বিষয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে অভিযুক্ত সাদি ও তানভীরকে দ্রুত গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে।

ছামির মাহমুদ/এসজে