১৮২ রানের বিশাল লক্ষ্য। এত বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটারদের পিলে চমকে ওঠার কথা। ব্যাট করতে নেমে সেটারই প্রমাণ দিচ্ছে তারা। সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ এবং সাকিব আল হাসানের বোলিংয়ের সামনে রীতিমত কাঁপছে বিশ্বকাপে নবাগত দেশটি।
Advertisement
এ প্রতিবেদন লেখার সময়ই ৪টি উইকেট হারিয়ে বসেছে পাপুয়া নিউগিনি। ৫ ওভারে রান তুলেছে কেবল ১৫টি।
প্রথম দুটি ওভার ভালোভাবেই মোকাবেলা করেছে দেশটির ওপেনাররা। তৃতীয় ওভারে এসে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন ওপেনার লেগা সিয়াকা। ১০ বলে ৫ রান করেন তিনি।
এরপর নুরুল হাসান সোহানের দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত হলেন পিএনজি অধিনায়ক আসাদ ভালা। তাসকিনের বলটি লেগ সাইড দিয়ে বের হওয়ার মুহূর্তে ব্যাটের খোঁচা দেন। সেই বলটি ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাতে তালুবন্দী করেন সোহান।
Advertisement
এরপর সাকিবকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওভারের প্রথম বলেই উইকেট নিলেন সাকিব। এবারও আরও একটি দুর্দান্ত ক্যাচ ধরলেন মোহাম্মদ নাইম। ২০ থেকে ২৫ গজ পেছনে গিয়ে লং অফে অসম্ভব এক ক্যাচ তালুবন্দী করেন নাইম। তাতে ফিরে যান চার্লস আমিনি।
ওই ওভারের চতুর্থ বলে আবারও উইকেট নিলেন সাকিব। এবার শেখ মেহেদী হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সিমন আতাই। ২ বল খেলে কোনো রানই করতে পারলেন না তিনি। ১৪ রানের মাথায় পড়লো চতুর্থ উইকেট।
পরের বলে আবারও ক্যাচ। এবার ক্যাচ তুললেন সেসে বাউ। কিন্তু তার ক্যাচটি ফেলে দেন নুরুল হাসান সোহান। ৯ম ওভারে গিয়ে আবারও উইকেট পেলেন সাকিব আল হাসান। সেই সেসে বাউকেই এবার মোহাম্মদ নাইমের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন সাকিব। ২১ বলে ৭ রান করে ফিরেন সেসে। ২৪ রানে পড়লো পঞ্চম উইকেট।
নিজের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই উইকেটের দেখা পেলেন স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান। এবার বিদায় নিলেন নরম্যান ভানুয়া। স্কোরবোর্ডে কোনো রানই যোগ করতে পারেননি তিনি। নরম্যান স্লগ খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল উঠে যায় লং অফে। সেখানে ছিলেন মুশফিক। বল তালুবন্দী করতে কোনোই সমস্যা হয়নি।
Advertisement
আইএইচএস