দেশজুড়ে

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে দুই আনসার সদস্যের মারধর

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছেন দুই আনসার সদস্য। এ ঘটনায় তাদের প্রত্যাহার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর নাম ঐশ্বর্য সরকার। তিনি কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

প্রত্যাহার হওয়া দুই আনসার সদস্য হলেন- মাসুদ ও শরীফ। তারা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার ২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

Advertisement

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুলহাস মিয়া জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।

হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্র জানায়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐশ্বর্য সরকার নামের ওই শিক্ষার্থী তীব্র মাথাব্যথা নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। টিকিট সংগ্রহের লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। এ দৃশ্য দেখে দুই আনসার সদস্য ছুটে আসেন এবং তারাও বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে অসুস্থ শিক্ষার্থীকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন তারা। পরে এ ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাদুজ্জামান নিউটনকে জানান আহত শিক্ষার্থী।

মমেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের এসআই জুলহাস মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বিষয়টি হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। পরে তাকে হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. ওয়ায়েজউদ্দিন ফরাজির কাছে নিয়ে যাই। দুপুরের পরে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আসাদুজ্জামান নিউটন হাসপাতালে আসেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আনসার সদস্যরা দোষী বলে প্রমাণিত হয়। পরে ওই দুই আনসার সদস্যকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।

আহত ঐশ্বর্য সরকার বলেন, অনেক বেশি মাথাব্যথা নিয়ে আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাই। আমি দুই আনসার সদস্যকে আগে গিয়ে টিকিট নেওয়ার কথা বলি। এনিয়ে তাদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা আমাকে বেধড়ক মারধর করেন।

Advertisement

এ বিষয়ে হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. ওয়ায়েজউদ্দিন ফরাজির বলেন, মারধরের কথা স্বীকার করায় অভিযুক্ত দুই আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করার পাশাপাশি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঞ্জুরুল ইসলাম/এসআর/জিকেএস