ভ্রমণ

এই সময়ে ভ্রমণে গেলে যা মাথায় রাখবেন

ভ্রমণপিপাসুদের কাছে সময়ের কোনো বাছবিচার নেই। কাজের ফাঁকে একটু অবসর পেলেই বেড়িয়ে পরেন ভ্রমণের উদ্দেশে। তবে সারাবছর ঘোরাঘুরি করলেও শীতকাল হচ্ছে ভ্রমণের সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। কেননা অন্য সময়ের চেয়ে শীতকালে ভ্রমণ হয় সবচেয়ে আরামদায়ক। শিশুদের স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার কারণে পরিবারের সবাইকে নিয়ে অবসর কাটানোরও সুযোগ পাওয়া যায়। এছাড়াও আবহাওয়া মোটামুটি ভালো থাকায় পুরো সময়টাকে ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়।

Advertisement

শরৎ শেষে প্রকৃতিতে বইছে হেমন্তের হিম বাতাস। ভোরের দিকের ঠান্ডাভাব জানান দিচ্ছে শীতের আগমন। ঋতু বদলের এ সময় যারা বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাদের দরকার বাড়তি কিছু সতর্কতা। কেননা এ সময়টাতে অনেকেই সাধারণ ফ্লুতে আক্রান্ত হন। তাই শীতের শুরুতে ভ্রমণে যেতে অবশ্যই বাড়তি কিছু বিষয়ে নজর দিন। সঙ্গে রাখবেন প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব—

> ভ্রমণে যাওয়ার আগে প্রথমেই স্থান নির্বাচন করুন। এ ক্ষেত্রে শীতকালের জন্য ভ্রমণের কোন জায়গাগুলো উপযুক্ত, তা আগে খুঁজে বের করুন। দেশের বাইরে হলে কোন দেশে শীতের তীব্রতা কেমন তা আগেই জেনে নিন। দেশের ভেতরে হলে পাহাড় কিংবা সমুদ্র যেখানে খুশি যেতে পারেন। কেননা শীতে এসব জায়গা ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।

> যাওয়ার আগেই থাকার জায়গা ঠিক করে নিন। হোটেল বুকিং দিন। কারণ শীতের মৌসুমে অনেক সময় হোটেল সংকটে পড়তে হয়। এ জন্য বিভিন্ন হোটেলের ওয়েবসাইটে অথবা ট্রাভেল এজেন্সির সাহায্য নিতে পারেন। এছাড়াও যে হোটেলে উঠতে চাচ্ছেন, সেটার ব্যাপারে একটু খোঁজ-খবর নিন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারেও জেনে নিন। যেহেতু শীতের সময়, তাই বাড়তি লেপ বা কম্বলের কথা আগেই জানিয়ে রাখুন।

Advertisement

> প্রথমেই উপযুক্ত পোশাক গুছিয়ে ব্যাগে ভরে নিন। সমুদ্রে খুব একটা শীত থাকে না। তবে পাহাড়ে গেলে অবশ্যই শীতের পোশাক সঙ্গে নিন। ডে ট্রিপ হলেও সঙ্গে বাড়তি শীতের পোশাক রাখুন। কোনো কারণে পরিধানের পোশাক নোংরা হয়ে গেলে দরকার হতে পারে। বন-জঙ্গলে যেতে পুরো শরীর ঢেকে থাকে এমন পোশাক পরুন। এতে পোকামাকড়ের কামড়, কাঁটালতা থেকে রক্ষা পাবেন। পানিতে নামবেন এমন কোথাও ভ্রমণে গেলে এমন পোশাক পরুন, যা পানিতে ভিজলে খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।

> জুতার ক্ষেত্রে স্লিপার, কেডস, বুট সবচেয়ে আরামদায়ক। ডায়াবেটিস রোগীরা ভ্রমণে অবশ্যই কেডস পরুন। অবশ্যই বাড়তি জুতা-মোজা সঙ্গে রাখুন।

> এ সময় হঠাৎ ঠান্ডা কাশি লেগে যেতেই পারে। তাই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখুন। আপনার প্রতিদিনকার কোনো অ্যান্টিবায়োটিক থাকলে আগেই তা প্যাকেট করুন। শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বর-ঠান্ডার ওষুধ নিয়ে নিন।

> ফোন, ল্যাপটপ, ক্যামেরা—যা-ই সঙ্গে নিন না কেন, আপনার ডিভাইসের চার্জারটি নিতে ভুলবেন না। সঙ্গে পাওয়ার ব্যাংকটিও নিয়ে নিন। বের হওয়ার আগে ডিভাইসগুলো ফুল চার্জ করে নিন। এছাড়াও টর্চলাইট, ইয়ারফোনসহ নানা প্রয়োজনীয় গ্যাজেট আগেই ব্যাগে রাখুন।

Advertisement

কেএসকে/জিকেএস