ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নিয়মিত পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভারতের আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে (আইসিপি) দুই বাহিনীর অধিনায়ক পর্যায়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১২-বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নজরুল ইসলাম ও বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্বে দেন ১৯৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী চিতার পাল।এছাড়াও বৈঠকে অংশ নেয়া বিজিবির প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন ১২-বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অপ্স অফিসার এডি মো. আহ্সান হাবীব, অনারারি উপ পরিচালক মো. আবু তাহের এবং বিজিবি আখাউড়া ও মনিয়ন্দ কোম্পানি কমান্ডারবৃন্দ।বৈঠকে আগরতলা-আখাউড়া চেকপোস্টের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নালা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের আগরতলা শহরের কল-কারখানার বর্জ্য ও দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি বন্ধের ব্যাপারে ভারতের অভ্যন্তরে ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটম্যান্ট প্লান্ট এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে (ভারতীয় অর্থায়নে) বক্স কালভার্টসহ ৪০০ মিটার ড্রেন নির্মাণের ব্যাপারে ১২-বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক কর্তৃক ১৯৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্টের কাছে জোরালো দাবি জানালে বিএসএফের পক্ষ থেকে বিষয়টি শিগগির সমাধান করা হবে বলে বিজিবি অধিনায়ককে আশ্বস্ত করেন।অপরদিকে ভারতের অভ্যন্তরে বক্স টাইপ (জঈঈ) কালভার্ট এবং শূন্য রেখার নিকটবর্তী স্থানে স্নাইডিং গেট নির্মাণের ব্যাপারে বিএসএফ বিজিবি প্রতিনিধির কাছে অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ১২-বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ভারতের অভ্যন্তরে ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটম্যান্ট প্লান্ট এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বক্স কালভার্টসহ ৪০০ মিটার ড্রেন নির্মাণের ইস্যুটি যেহেতু দীর্ঘদিনের তাই এই বিষয়গুলো আগে সমাধান করা হলে পরবর্তীতে আপনাদের বর্ণিত ইস্যুগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুমোদন সাপেক্ষে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।এছাড়া বৈঠকে দু’দেশের সীমান্তে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ, মাদক চোরাচালান, মানবপাচার, অবৈধ অনুপ্রবেশসহ উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার লক্ষ্যে নানাদিক নিয়ে আলোচনা হয়।আজিজুল আলম সঞ্চয়/বিএ
Advertisement