করোনা মহামারিতে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারোর বিরুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। ব্রাজিলের সিনেটের এক রিপোর্টে, করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধসহ আরও বেশ কিছু অপরাধে বোলসোনারোর বিরুদ্ধে অভিযোগের সুপারিশ করা হয়েছে। তবে বুধবার তার বিরুদ্ধে আনা সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৬৬ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট। জোর দিয়ে তিনি বলেছেন যে, তিনি কোনো কিছুর জন্য দোষী না।
Advertisement
ব্রাজিলে ৬ লাখের বেশি মানুষ করোনা সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন। বিশ্বে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই ব্রাজিলের অবস্থান। এখন পর্যন্ত সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বোলসোনারোর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে সে সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে ব্রাজিলের প্রসিকিউটর-জেনারেলের ওপর। কিন্তু ওই প্রসিকিউটরকে বোলসোনারোই নিয়োগ দিয়েছেন এবং তিনি বোলসোনারোর ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবেই পরিচিত।
করোনা মহামারি শুরুর পর থেকেই প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিষয়ে উদাসীন ছিলেন বোলসোনারো। দেশজুড়ে সামাজিক দূরত্ব, বিধিনিষেধ এবং মাস্ক পরারও বিরোধী ছিলেন তিনি। নিজে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও এ বিষয়ে কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি। এমনকি ভ্যাকসিনেরও বিরোধিতা করে আসছেন এই ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট।
Advertisement
করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভুল চিকিৎসা পদ্ধতি এবং ভুল তথ্য প্রকাশের অভিযোগও রয়েছে বোলসোনারোর বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে তাকে জনসমাবেশে মাস্ক ছাড়াই অংশ নিতে দেখা গেছে। এসব নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলেও নিজের জায়গায় অনঢ় ছিলেন তিনি।
ব্রাজিলে বহু মানুষের মৃত্যুর পেছনে বোলসোনারো দায়ী কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করেছেন সিনেটের ১১ সদস্যের একটি প্যানেল। এক হাজার ২শ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্টে, ভণ্ডামি এবং অপরাধে উসকানি দেওয়া থেকে শুরু করে জনগণের অর্থের অপব্যবহার এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে বোলসোনারোকে অভিযুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডানপন্থি নেতা বোলসোনারো সিনেটের এই তদন্তকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং তার বিরুদ্ধে নাশকতার চেষ্টা বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি সব ধরনের অপরাধ অস্বীকার করেছেন। বোলসোনারো বলেন, আমরা জানি যে দোষের কোনো কাজ আমরা করিনি। আমরা প্রথম থেকেই সঠিক কাজটিই করে আসছি।
টিটিএন/এএসএম
Advertisement