স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, টিকার অভাব নেই। ২১ কোটি ভ্যাকসিন কেনা আছে। নভেম্বর থেকে প্রতি মাসে তিন কোটি করে টিকা দেওয়া হবে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর মহাখালীতে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, চলতি মাসেও তিন কোটি টিকা দেওয়া হবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে বসবাসরত বাঙালিরাও ভ্যাকসিন পাবেন। প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন টাকার অভাব হবে না, টিকারও অভাব হবে না।
স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, স্কুলের ছেলেমেয়েরাও টিকা পাবে। আমরা আইসিটি ও শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছি। এগুলো হাতে পেলেই শিক্ষার্থীদের জন্য টিকা কার্যক্রম শুরু করে দেবো।
Advertisement
করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশ সফল জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ করোনাযুদ্ধে সফল। এটা কোনো ম্যাজিক নয়। বিশ্বের অনেক দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সফলতা দেখিয়েছে। স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট সবার রাতদিন পরিশ্রমের ফলেই এই সফলতা অর্জন হয়েছে। করোনাযুদ্ধে আমরা সফলতার পথে।
পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা প্রধান টার্গেট নয়, ওদের মূল টার্গেট সরকার পতন। ষড়যন্ত্রকারীরা দেশে জ্বালাও-পোড়াও শুরু করেছে। এরা দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করতে চায়, শান্তি নষ্ট করতে চায়। তবে আমরা ষড়যন্ত্রকারীদের সফল হতে দেবো না। আমাদের সংগ্রাম চলছে, আমাদের যুদ্ধ হলো ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, আমরা সংগ্রাম করছি। আমারা সকল অসুখ, দারিদ্র্য, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো। শান্তির জন্য যুদ্ধ চলছে, চলবে। যুদ্ধ করে করোনা জয় করতে সক্ষম হয়েছি এবং জয়লাভের পথে। ১৫০ দেশের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম হয়েছি করোনাযুদ্ধে। অনেকের আত্মত্যাগে এটা সম্ভব হয়েছে।
নিজেকে বর্তমান প্রজন্মের যোদ্ধা দাবি করে জাহিদ মালেক বলেন, আমি ৭১ সালে যুদ্ধে অংশ নিতে পারিনি তবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সোনার বাংলা গড়ার জন্য যুদ্ধ করছি। দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন ও দারিদ্র্য নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যুদ্ধ করছি। আমরা চাই দেশে দারিদ্র্য থাকবে না, জীবনযাত্রা সুন্দর হবে। আমরা যুদ্ধ করতে পারিনি তবে সোনার বাংলা গঠনে কাজ করছি এটাই যুদ্ধ।
Advertisement
আলোচনা সভায় আরও অংশ নেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি এম আবদুল আজিজ প্রমুখ।
এমওএস/বিএ/এমএস