বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষের ঘরেই ফ্রিজ আছে। ফ্রিজ ছাড়া জীবনযাপন করা এখন অনেকটাই মুশকিল। কর্মব্যস্ত জীবনে ফ্রিজ যেন একটু হলেও স্বস্তি দেয়। বিশেষ করে ঘরে একটি ফ্রিজ থাকলে খাবার সংরক্ষণ করার বিষয়ে আর চিন্তা করতে হয় না।
Advertisement
তবে ফ্রিজের কারণে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল গুনতে গিয়ে ঝামেলায় পড়েন অনেকেই। আসলে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ফ্রিজ ব্যবহার করলে বিদ্যুতের বিল অনেক কম আসে।
তবে অনেকেরই এ বিষয়ে তেমন ধারণা নেই! এ কারণেই মাসের পর মাস অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল গুনতে হচ্ছে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল কমাতে যা করণীয়-
>> প্রথমত ফ্রিজের চারপাশ খোলা রাখুন। অর্থাৎ ফ্রিজের উপরে ও এর আশেপাশে বিভিন্ন জিনিস রাখবেন না।
Advertisement
এতে ফ্রিজের ঠান্ডা করার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। এক্ষেত্রে ফ্রিজ থেকে সৃষ্ট গরম বাতাস বের হতে পারে না, ফলে খাবার ঠান্ডা করার ক্ষেত্রে বেশি অ্যানার্জির প্রয়োজন হয়। এমনটি হলে আপনার বিদ্যুৎ বিলও বেড়ে যাবে।
>> নিয়মিত ফ্রিজের কনডেন্সার পরীক্ষা করুন। কনডেন্সাররের কয়েলে ময়লা জমে গেলে সঠিকভাবে সেটি তাপ বিকিরণ করতে পারে না। ফলে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হতে পারে। তাই কনডেন্সার পরিষ্কার রাখুন।
এজন্য ফ্রিজ বন্ধ করে এর পেছনে বা নিচে কনডেন্সার কয়েল পরিষ্কার করুন। এক্ষেত্রে ব্যবহার করুন একটি ব্রাশ বা ভ্যাকুয়াম ক্লিনার। কনডেন্সার কয়েল বছরে ২-৩ বার পরিষ্কার করুন।
>> ফ্রিজের দরজা ঠিকমতো লাগছে কি না তা পরীক্ষা করুন। অনেক সময় বাইরে থেকে মনে হয় ফ্রিজের দরজা লাগানো আছে, তবে তা ঠিকমতো লাগে না।
Advertisement
এমন হলে ফ্রিজের ঠান্ডা বাতাস বেরিয়ে যায়। ফলে বিদ্যুৎ বেশি খরচ হয়। আবার খাবারও নষ্ট হতে পারে। তাই সেদিকে খেয়াল রাখুন।
>> ফ্রিজের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে একটি বোতলে পানির সঙ্গে লবণ মিশিয়ে রাখুন। এক্ষেত্রে যদি কখনো বিদ্যুৎ চলেও যায় তাহলে খাবার নষ্ট হবে না।
>> কখনো গরম খাবার ফ্রিজে রাখবেন না। আর যদি গরম খাবার রাখেন তাহলে ফ্রিজ বেশি অ্যানার্জি খরচ করবে সেটি ঠান্ডা করতে। তাই যে কোনো খাবার ঠান্ডা হলে তবেই ফ্রিজে রাখুন।
>> ফ্রিজের রেগুলেটারের পাওয়ারের দিকে খেয়াল রাখুন। এর পাওয়ার যত কম থাকবে বিদ্যুৎ বিল তত কম উঠবে।
>> ফ্রিজ থেকে অপ্রয়োজনীয় থালা-বাটি, বক্স, বোতল ইত্যাদি সরিয়ে নিন। যখন দেখবেন ফ্রিজে রাখার মতো কোনো জিনিসই নেই তখন ফ্রিজ বন্ধ রাখাই ভালো।
>> ফ্রিজে বেশি খালি জায়গা থাকলে তাপমাত্রা ধরে রাখার ক্ষমতা কমে। তাই খালি ফ্রিজ বন্ধ রাখাই ভালো।
>> ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিজের তাপমাত্রাও পরিবর্তন করুন। রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম রাখা উচিত নয়। অন্যদিকে ডিপ ফ্রিজের তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখবেন না।
সূত্র: কার্বনট্র্যাক
জেএমএস/জিকেএস