ফরিদপুরের সদরপুরে পেঁয়াজের বীজ চাষি আল-আমিন মোল্লার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ১২ লাখ টাকা ও আটভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটের অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
রোববার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার পূর্ব শ্যামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পেঁয়াজের বীজ চাষি আল-আমিন অভিযোগ করে জানান, প্রতিবেশী ও চাচা গণি মোল্লা এবং তার ছেলে মন্টু মোল্লার নেতৃত্বে ১০-১২ জন বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগের দিন বীজ বিক্রি করে ঘরে রাখা ১২ লাখ টাকা ও আটভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে করে নেয়। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে না থাকায় হামলাকারীদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে ছোটো ভাই হেলাল মোল্লা (৩২) গুরুতর আহত হন। তাকে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আল-আমিন মোল্লার স্ত্রী শিরিন বেগম জানান, রোববার বিকেলে চাচাতো দেবর মন্টু মোল্লা এসে ডাক দিয়ে কথা আছে বলে গেট খুলতে বলেন। গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে তারা চার থেকে পাঁচজন ধাক্কা দিয়ে দোতলার কক্ষে প্রবেশ করে। এ সময় কয়েকজন বাড়ির নিচতলার গেটে অবস্থান করেন। তারাদেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরের আলমারি খুলতে বাধ্য করে এবং আলমারি থেকে নগদ ১২ লাখ টাকা ও আটভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। তাদের বাঁধা দিতে গেলে দেবর হেলাল মোল্লাকে পিটিয়ে জখম করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হেলাল মোল্লা জানান, শোর চিৎকার শুনে এগিয়ে যাওয়ার পর কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েকজন হামলা চালিয়ে মারধর করলে আহত হন তিনি। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর প্রতিবেশীরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
Advertisement
এদিকে অভিযুক্ত গণিমিয়া বলেন, তারা কারও বাড়িতে হামলা বা টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করেননি। হামলার কোনো ঘটনাও ঘটেনি। আমার ভাইয়ের ছেলে আল-আমিনের পরিবারের সঙ্গে পূর্ব থেকেই বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জের ধরে তারাই হামলার নাটক করে আমাদের ওপর দোষ দিচ্ছে।
এ বিষয়ে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার জাগো নিউজকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একজন উপ-পরিদর্শককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঘটনার বিষয়ে সঠিকভাবে তদন্ত করার জন্য। প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এন কে বি নয়ন/এসজে/এএসএম
Advertisement