জাতীয়

সাম্প্রদায়িক শক্তি রুখে দাঁড়াতে পাশে থাকবেন সাংবাদিকরা

যারা হামলা করছে তারা সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। তাদের অপকর্ম রুখতে হবে। তাদের রুখতে সাংবাদিকরা পাশে থাকবে।

Advertisement

সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন সাংবাদিক নেতারা।

প্রতিবাদ সমাবেশে জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, এই প্রতিবাদ আমাদের করার কথা ছিল না। কারণ দেশটি স্বাধীন হয়েছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষে। সবাই এই বাংলাদেশ বিনির্মাণেই যুদ্ধ করেছে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হামলা আমরা চাইনি। সারা বিশ্বের মানুষ দেখে আমরা সবাই একসঙ্গে সব উৎসব পালন করি। আমরা এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে নিতে চাই, যেন সামনে আর কোনো ঘটনা না ঘটে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সম্প্রতি যে হামলা হয়েছে, হিন্দু-মুসলিম কেউ এটা করেনি। তাহলে কারা করেছে? মানুষের চেহারার শকুন এটা করেছে যারা মানুষের মাংস চায়, রক্ত চায়। এ দেশে সম্প্রীতির নানা উদাহরণ আছে। লালমনিরহাটে মসজিদ-মন্দির একসঙ্গে। গোপালগঞ্জে একই জায়গায় মসজিদ-মন্দির। তাই আমরা চাই এমন সম্প্রীতির বাংলাদেশ।

Advertisement

প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুক বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির অপকর্ম রুখতে হবে। সম্প্রতি যে হামলা হয়েছে তা উগ্রবাদীদের কাজ। এরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে ফায়দা লুটতে চায়।

হিন্দু, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, আপনারা ভীত হবেন না। আমরা আপনাদের সঙ্গে রয়েছি। প্রকৃত ধর্মপ্রাণরা এসব করে না, তারা সম্প্রীতি চায়। হামলা চায় না। ধর্ম অন্তরের বিষয়, বিশ্বাসের বিষয়।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল মজিদ, কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান জিহাদ, দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল সোহেল, প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

আরএসএম/এমএইচআর/জিকেএস

Advertisement