খেলাধুলা

কিসওয়েটারের ব্যাটে ইংল্যান্ডের প্রথম কোনো শিরোপা

তিন বছরের মধ্যে তিনটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০০৭ থেকে ২০১০ - এই তিন বছরে টি-টোয়েন্টির জনপ্রিয়ত এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে যায়, আইসিসি বাণিজ্যিক লাভের কথা চিন্তা করেই তিনটি বিশ্বকাপের আয়োজন করে ফেলে। যার তৃতীয়টি আয়োজন হয় ২০১০ সালে। এই বিশ্বকাপেই ট্রফি জয়ের আক্ষেপ পূরণ করে ইংল্যান্ড।

Advertisement

গত ৬টি বিশ্বকাপ ফাইনালেও তেমন মোড় ঘুরিয়ে দেয়া পারফরম্যান্সগুলো নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা তুলে ধরা হচ্ছে জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য। চলুন, দেখে নেওয়া যাক ২০১০ তৃতীয় বিশ্বকাপে কে হয়েছিলেন ফাইনাল সেরা...!

তৃতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ২০১০আয়োজক: ওয়েস্ট ইন্ডিজচ্যাম্পিয়ন: ইংল্যান্ড (৭ উইকেটে), রানার্সআপ: অস্ট্রেলিয়াম্যান অব দ্য ফাইনাল: ক্রেইগ কিসওয়েটার (ইংল্যান্ড ); ৪৯ বলে ৬৩ রান

তিনটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ, একটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এবং চার-চারটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে ইংল্যান্ডের গল্পটা একই। ইংল্যান্ড ফাইনাল খেলবে; কিন্তু শিরোপা ছুঁতে পারবে না- এমনটা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। অবশেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় আসরে ক্রিকেটের জনকদের সামনে সুযোগ এল বৈশ্বিক কোনো শিরোপা ঘরে তোলার।

Advertisement

২০১০ সালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে ইংলিশদের প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া, যাদের বিপক্ষে ১৯৮৭ বিশ্বকাপে অল্পের জন্য শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল ইংল্যান্ডের।

এবার ইংল্যান্ড প্রথম কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট জয়ের পাশাপাশি নিয়েছিল ‘মধুর প্রতিশোধ’ও। ফাইনালে অসিদের দেওয়া ১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৭ রানেই ওপেনার মাইকেল লাম্বকে হারায় ইংল্যান্ড।

ওয়ান ডাউনে নামা কেভিন পিটারসেনের সঙ্গে আরেক ওপেনার ক্রেইগ কিসওয়েটার ১১১ রানের জুটি গড়ে শিরোপা জয়ের পথ অনেকটা সুগম করে তোলেন। কিসওয়েটার ও পিটারসেন দুজনে খুব দ্রুত ফিরে গেলেও অধিনায়ক পল কলিংউড ও ইয়ন মরগ্যান মিলে তিন ওভার আগেই ইংল্যান্ডকে পাইয়ে দেন শিরোপা জয়ের স্বাদ।

৪৯ বলে ৬৩ রান করে আউট হন কিসওয়েটার। ৭টি বাউন্ডারির পাশাপাশি তার ব্যাট থেকে বেরিয়ে আসে দুটি বিশাল ছক্কা। কেভিন পিটারসেন করেন ৩১ বলে ৪৭ রান। ৪ বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি।

Advertisement

ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে ৭ ম্যাচে ৩১.৭১ গড়ে ২২২ রান করেছিলেন কিসওয়েটার, যেখানে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটাই খেলেছিলেন ফাইনালে। একই সঙ্গে ৪টি ক্যাচ ও ১টি স্ট্যাম্পিংও করেছিলেন এই ইংলিশ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

আইএইচএস/