খান মুহাম্মদ রুমেল
Advertisement
অনিমেষই বাংলাদেশ
জ্বলছে পীরগঞ্জ মাঝিপাড়াজ্বলছে নোয়াখালী কুমিল্লাজ্বলছে বাংলাদেশের হৃদয়!শ্যামল বাতাস ভরা নদীটাকে—আজ মনে হয় নরকের দুয়ার।
স্তব্ধ সিঁদুরের কৌটা—পড়ে আছে বেসামাল।সন্তান কোলে বসে আছে আরতিবালা—ভয় নিয়ে চোখে নির্বাক দিশেহারা!মন্দিরে দিয়েছে আগুন, দিয়েছে বসত ঘরেধর্মান্ধ অসুরের কুটিল চ্যালা।
Advertisement
তবুওআমার বন্ধু অনিমেষ কোথাও যাবে না—এ মাটি পবিত্র মাটি ছেড়ে!অনিমেষ যেতে পারে না—এই রক্তস্নাত শ্যামলে তার অধিকার সমান।যতই মারো, যতই পোড়াও—অনিমেষ-আরতিবালাই বাংলাদেশ!
****
মধ্যরাতের পরে...
এক চিলতে জানালায় বিশাল এক চাঁদঝলকে দিয়েছিল চোখজোড়া আমারগতকাল মধ্যরাতের পরের প্রহরে!পাশ ফিরে শুতে শুতে পড়ছিল মনেতোমার কথা, চাঁদটা কি দেখছো তুমি?
Advertisement
অতল ঘুমে হারিয়ে গেলাম এরপরঘুম ভেঙে দেখি ঝলমলে সূর্য!ঝকঝকে আকাশে সেই থেকে খুঁজছিরুপার থালা চাঁদ এবং তোমাকে!পাইনি কোথাও, পাচ্ছি না একেবারেই।
তুমি কি আসবে আবার রাতের ’পরে!অপেক্ষায় অপেক্ষায় কাটছে দিন...
বিলাসী এমন ভাবনার কালে—পুড়লো যে ধর্মঘর আমার বন্ধু অনিমেষের।মধ্যরাতের পরে আতঙ্কনীল প্রহরে—লেলিহান আগুনশিখায় পুড়লো বসত!
তারপরেওকোন সাহসে তোমায় আমি বলি—ভালোবাসার কথা?আমাকে ধিক্কার দাও প্রিয়তমাব্যর্থ কাপুরুষ আমি!
এসইউ/জেআইএম