প্রথম বিশ্বকাপের দুই বছর পর আবারও ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম আসরের বিশ্বকাপ। এবার আয়োজক ইংল্যান্ড। আগের বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও বিশ্বকাপ জিততে না পারার আক্ষেপ নিয়েই ইংল্যান্ড গিয়েছিল পাকিস্তান। লর্ডসের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে পেয়ে সেই আক্ষেপ তারা ঘুচে নেয়। আফ্রিদির অলরাউন্ড নৈপুণ্যে শিরোপা ঘরে তোলে পাকিস্তান।
Advertisement
গত ৬টি বিশ্বকাপ ফাইনালেও তেমন মোড় ঘুরিয়ে দেয়া পারফরম্যান্সগুলো নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা তুলে ধরা হলা জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য। চলুন, দেখে নেওয়া যাক ২০০৯ দ্বিতীয় বিশ্বকাপে কে হয়েছিলেন ফাইনাল সেরা...!
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০০৯ আয়োজক: ইংল্যান্ডচ্যাম্পিয়ন: পাকিস্তান (৮ উইকেটে), রানার্সআপ: শ্রীলঙ্কা ম্যান অব দ্য ফাইনাল: শহিদ আফ্রিদি (পাকিস্তান); ৪০ বলে ৫৪*, ২০ রানে ১ উইকেট
প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শহিদ আফ্রিদি হয়েছিলেন ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট। কিন্তু সেবার তা ‘ম্লান’ হয়ে গিয়েছিল অল্পের জন্য বিশ্বকাপ না ছুঁতে পারার দুঃখে।
Advertisement
আফ্রিদি যেন এবার পণ করেছিলেন সেই ক্ষতে প্রলেপ লাগানোর। লর্ডসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো গতির ফিফটি করে পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন করে মাঠ ছাড়লেন।
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও নিয়েছিলেন ১টি উইকেট। একই সঙ্গে ১৭ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের শিরোপা ঘরে তুলেছিল পাকিস্তান।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেট হারিয়ে করেছিল ১৩৮ রান। পাকিস্তানি বোলারদের তোপের মুখে স্কোর খুব বেশি বড় করতে পারেনি তারা। আফ্রিদি বল হাতে ৪ ওভারে দিয়েছিলেন কেবল ২০ রান। উইকেট নিলেন ১টি। ব্যাট হাতে আফ্রিদির ৪০ বলে হার না মানা ৫৪ রানের ইনিংসটিই পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়নের মুকুট এনে দেয়। ১০ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইউনিস খানরা।
ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওই টুর্নামেন্টে ৭ ম্যাচে ৩৫.২ গড়ে ১৭৬ রানের পাশাপাশি আফ্রিদি নিয়েছিলেন ১১ টি উইকেট। নটিংহ্যামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনালে ৩৪ বলে ৫১ রান, ১৬ রানে ২ উইকেট- এই অলরাউন্ড নৈপুণ্য পাকিস্তানকে ফাইনাল উঠতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল।
Advertisement
ফাইনালে শোয়েব মালিকের সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে আবিচ্ছিন্ন ৭৬ রানের জুটি গড়ে আফ্রিদির ‘এক্স-ম্যান সেলিব্রেশন’ ক্রিকেটপ্রেমীরা নিশ্চয়ই আজীবন মনের ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখতে চাইবেন।
আইএইচএস/