শুরু হয়ে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মহারণ। ওমানের আল আমিরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওমান-পাপুয়া নিউগিনি ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে চার-ছক্কার ধুম-ধাড়াক্কা লড়াই। এবার আয়োজন হচ্ছে সপ্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
Advertisement
২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর। উদ্বোধনী আসরের মুকুট জিতে নিয়েছিল ভারত। এরপর হয়েছে আরও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
সর্বশেষ ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হয় ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের এই টুর্নামেন্টটি। ভারতে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রতিটি ম্যাচেরই মোড় ঘুরিয়ে দেয়া পারফরম্যান্স যারা করে থাকেন তারাই হন ম্যাচ সেরা।
গত ৬টি বিশ্বকাপ ফাইনালেও তেমন মোড় ঘুরিয়ে দেয়া পারফরম্যান্সগুলো নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা তুলে ধরা হলা জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য। চলুন, দেখে নেওয়া যাক ২০০৭ প্রথম বিশ্বকাপে কে হয়েছিলেন ফাইনাল সেরা...!
Advertisement
প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০০৭ আয়োজক: দক্ষিণ আফ্রিকা)চ্যাম্পিয়ন: ভারত (৫ রানে), রানার্সআ: পাকিস্তান ম্যান অব দ্য ফাইনাল: ইরফান পাঠান (ভারত); ১৬ রানে ৩ উইকেট
৪ বলে ৬ রান, হাতে আছে ১ উইকেট- এমন সমীকরণেৎ নিয়ে ব্যাট করছিলেন মিসবাহ-উল-হক। যোগিন্দার শর্মা তৃতীয় বলটি করলেন স্লোয়ার। মিসবাহ স্কুপ করলেন, শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ ধরলেন শ্রীশান্থ।
সঙ্গে সঙ্গে পুরো ভারতীয় ডাগআউট বিশ্বজয়ের আনন্দে উল্লাসে মেতে ওঠে। আর মিসবাহ উইকেটে ঠায় বসে রইলেন পুরো পাকিস্তানের ‘প্রতীকি চিত্র’ হয়ে।
জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে হাই ভোল্টেজ ফাইনালে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারত। গৌতম গম্ভীরের ৫৪ বলে ৭৫ রানের ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৫৭ রান সংগ্রহ করেন ধোনিরা।
Advertisement
১৫৮ রান তাড়া করতে নেমে ৭৭ রানে ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান। যেখানে শোয়েব মালিক ও শহিদ আফ্রিদিকে পরপর দুই বলে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে বড় ‘ধাক্কা’ দিয়েছিলেন ইরফান পাঠান।
পরে ইয়াসির আরাফাতকে ফিরিয়ে ফাইনালে নিজের তৃতীয় উইকেট নিয়েছিলেন ইরফান। পাকিস্তানের ব্যাটিং আগ্রাসনকে বলতে গেলে একাই থামিয়ে দিয়েছিলেন ইরফান। ৪ ওভার বল করে দিয়েছিলেন কেবল ১৪ রান। ইকনোমি ৪ করে। উইকেট নিয়েছেন ৩টি। যে কারণে গম্ভীরের ৭৫ রানকেও ম্যাচ সেরার জন্য বিবেচনায় আনা হয়নি।
শুধু ফাইনালেই নয়, টুর্নামেন্ট জুড়েই ইরফান ছিলেন দুর্দান্ত। প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিয়েছিলেন ১০ উইকেট, যেখানে ডারবানের কিংসমিডে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিয়েছিলেন ব্র্যাড হজ ও অ্যান্ড্রু সায়মন্ডসের দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
একই মাঠ কিংসমিডে সুপার এইটে ‘বাঁচা মরার ম্যাচে’ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিয়েছিলেন তিন উইকেট, যে ম্যাচটি যুবরাজ সিং স্মরণীয় করে রেখেছেন স্টুয়ার্ট ব্রডকে এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকিয়ে।
আইএইচএস/