কর্মব্যস্ত শহুরে জীবনে যেন দম ফেলানোর ফুরসত নেই। এই যান্ত্রিক জীবনের ব্যস্ততা রেখে দু’দণ্ড সময় কাটানোর জায়গার খোঁজ করেন অনেকেই।
Advertisement
ঢাকার ভেতরেই চোখ জুড়ানোর জায়গা খুঁজে পাবেন। যেখানে গেলে সবুজ ও শুভ্রতার এক রাজ্য দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে।
বলছি, রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির কথা। কংক্রিটের জঞ্জাল ছেড়ে এক বিকেল কাটিয়ে আসতে পারেন প্রকৃতিঘেরা দিয়াবাড়িতে।
দিয়াবাড়ি রাজধানীর উত্তরার ১৫ নম্বর সেক্টরে। শরৎকাল এলেই সেখানকার সৌন্দর্য দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয় অযত্নে-অবহেলায় ফুটে ওঠা কাশফুল।
Advertisement
ঠিক যেন শুভ্রতার রাজ্য। এসময় পুরো দিয়াবাড়ি জুড়েই দেখা মিলবে কাশফুলের। সবাই কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতেই এ সময় ভিড় জমায় সেখানে।
ইট-কাঠের শহরে কাশফুলের দেখা পেলে মন ভালো না হয়ে উপায় নেই। বিকেলে অবসর সময় কাটানোর জন্য দিয়াবাড়ি এখন বেশ জনপ্রিয় স্থান হয়ে উঠেছে।
কাশবনের ভেতর দিয়ে চলে গেছে পথ। এখানকার রাস্তার ভেতরের দিকটা বেশ নিরিবিলি। একটু পরপরই একেবারে মাথার উপর দিয়ে উড়োজাহাজ উড়ে যেতে দেখবেন।
ঢাকায় এতো কাছ থেকে উড়োজাহাজের ওড়াউড়ি দিয়াবাড়ি ছাড়া আর কোথাও দেখা যায় না। বিকেলে সেখানকার পুরো এলাকা গ্রামীণ মেলায় রূপ নেয়।
Advertisement
দিয়াবাড়ি পার্কে গেলে নাগরদোলা, ঘোড়া, ঘোড়ার গাড়িসহ ছোটদের খেলনা এমনকি বাহারি খাবারও পেয়ে যাবেন। একইসঙ্গে সারি সারি ফুচকা চটপটির দোকানও দেখতে পাবেন।
দিয়াবাড়ি গেলে চোখে পড়বে একটি বিশালাকার বটগাছ। বটগাছটির দু’পাশে রাস্তা। ওই স্থানটি দিয়াবাড়ি বটতলা নামে পরিচিত।
বটতলা থেকে সামান্য এগিয়ে গেলেই দেখবেন লেকের পাড়ে বোট হাউস। এই পাড়বাঁধানো লেক দিয়াবাড়ির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ।
বাঁশ ও কাঠ দিয়ে বানানো হয়েছে বসার জায়গা। সারি সারি বাঁধা আছে পায়ে চালিত নৌকা। ঘণ্টা চুক্তিতে ভাড়া করে ঘুরতে পারবেন লেকের বুকে।
লেকের বেশ কিছুদূর সামনে গেলে দেখা মিলবে একটি মরা নদীর। এটি তুরাগ নদীর একটি শাখা। সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে একটি নান্দনিক সংযোগ সেতু। সেখানে দাঁড়ালে আঁকাবাঁকা নদীর সৌন্দর্য দেখতে পাবেন।
কীভাবে যাবেন?
দিয়াবাড়ি যেতে চাইলে ঢাকার যে কোনো স্থান থেকে উত্তরা রুটে চলাচলকারী বাসে হাউজ বিল্ডিং যেতে হবে।
সেখানকার নর্থ টাওয়ার বা মাসকট প্লাজার সামনে দিয়াবাড়ি যাওয়ার রিকশা ও লেগুনা পেয়ে যাবেন। লেগুনায় চড়ে সরাসরি দিয়াবাড়ি বটতলায় যাওয়া যায়।
জেএমএস/এএসএম