তথ্যপ্রযুক্তি

২০২১ সালের আগেই বিপিও খাতে এক লাখ কর্মসংস্থান

২০২১ সালের আগেই বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) খাতে এক লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে আশাবাদ বেক্ত করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় রাজধানীর আগারগাঁওস্থ কম্পিউটার কাউন্সিলের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।বিপিও সামিট সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সামিট-২০১৫ চলাকালীন সার্বিক বিষয়ে জাতির সামনে তুলে ধরার জন্য আমি আয়োজকদের পক্ষ থেকে আপনাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)-এর উদ্যোগে ৯-১০ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় ‘বিপিও সামিট-২০১৫’।তিনি বলেন, এ সম্মেলনের আগেই ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাক্টিবেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখান থেকে প্রায় ১৫ হাজার বায়োডাটা সংগ্রহ করা হয়েছে। বিপিও সামিট চলাকালীনের মধ্য থেকে ২৩৫ জনকে সরাসরি চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। বাকিদেরও পর্যায়ক্রমে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।পলক আরো বলেন, বিশ্বে প্রায় ৫শ` বিলিয়ন ডলারের বিপিও বাজার আছে। যেখানে পাশের দেশ ভারত প্রায় ৮০ বিলিয়নের বাজার দখল করেছে। এছাড়াও শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানও বিপিওর একটা বড় বাজার দখল করেছে। এই বাস্তবতায় আমরা ২০১৮ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন এবং ২০২১ সালের আগেই তিন বিলিয়ন ডলারের বাজার ধরতে চাই।প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে ৫৫৪টি বিপিও সেন্টার স্থাপন করা হবে। প্রতি বছর বাংলাদেশে আড়াই লাখ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা শেষ করেন। এদের মধ্য থেকে একটা বড় অংশকে বিপিও খাতের উপযোগী করতে উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে সরকার।তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর ২ লাখ ৫০ হাজার শিক্ষার্থী স্নাতক ডিগ্রি লাভ করছে। ২০২১ সালের আগেই এ শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে সঠিকভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশে ২ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিপিও খাতের উন্নয়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দক্ষ মানবসম্পদ  প্রয়োজন। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে দেড় লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ প্রদানে বেশ কিছু কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এর মধ্যে অধিকাংশই চলমান রয়েছে।আরএম/আরএস/এমএস

Advertisement