দেশজুড়ে

ঈশ্বরদীতে বিএনপি ধরে রাখতে চায় আ.লীগও মরিয়া

ঈশ্বরদী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদটি বিএনপি ধরে রাখতে চায় আর আওয়ামী লীগ তা জয় করার জন্য মরিয়া হয়ে আছে। দুই দলের প্রার্থীই কোমর বেঁধে প্রচার চালাচ্ছেন।এদিকে, আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পর দুই মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ও বিএনপি মনোনীত মকলেছুর রহমান বাবলু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।গতবার পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু দলের সমর্থনে প্রার্থী হলেও বাবলু নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তিনি পান ১৬ হাজার ৬৪৭ ভোট (দেয়াল ঘড়ি), মিন্টু (আনারস) পান ১২ হাজার ৪০৭ এবং পিন্টু (দোয়াত-কলম) পেয়েছিলেন ৪ হাজার ৬৫৪ ভোট। বাবলু ও মিন্টুর মধ্যে ৪ হাজার ২৪০ ভোটের ব্যবধান ছিল। গতবার ভোটার সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ৯৪৩ জন। মেয়াদ উত্তীর্ণের ১ বছর ৩ মাস ৫ দিন পর ১২ জানুয়ারি’১১ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ঈশ্বরদী পৌরসভার। ১৯৯৩ সালে আওয়ামী লীগের আব্দুর রহিম মালিথাকে পরাজিত করে মকলেছুর রহমান বাবলু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে মাহজেবিন শিরিন পিয়াকে পরাজিত করে আবুল কালাম আজাদ মিন্টু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তবে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পদ হারান। ২০০৪ সালে মিন্টুকে পরাজিত করে মকলেছুর রহমান বাবলু নির্বাচিত হন। ২০১১ সালে পুনরায় মিন্টুকে পরাজিত করে তৃতীয়বারের মতো বাবলু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। অনেকদিন দল থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার পরও ধানের শীষ পেয়েও বিএনপি কর্মীদের নির্বাচনী মাঠে এখনো নামাতে পারেননি মকলেছুর রহমান বাবলু। বরঞ্চ ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ডে অনেক বিএনপি কর্মী নৌকার পক্ষে কাজ করছেন। গত ২১ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ঈশ্বরদীতে এক পথসভায় বাবলুর পক্ষে দলের সকল নেতাকর্মীকে মাঠে নামার আহ্বান জানান। কিন্তু এতেও তেমন কাজ হয়নি। বিএনপির একটি বড় অংশ এখনো দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামেনি। তবে প্রার্থী ও সমর্থকরা শুধু কর্মী নয় ‘চাপা ভোট’ অথাৎ দল-নিরপেক্ষ সাধারণ ভোটারকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী নৌকার পক্ষে মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।  ঈশ্বরদীর এক শ্রেণির ভোটার মনে করেন, বর্তমান সরকার তাদের নির্বাচনী ওয়াদা পূরণ করতে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতকরণ, কয়েকটি শিশু হত্যার দ্রুত বিচারসহ নিজস্ব অর্থে পদ্মাসেতু নির্মাণ শুরুর মধ্য দিয়ে জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সততা, সাহসিকতাসহ ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি জনগণের মধ্যে ইতিবাচক থাকায় এবং তার লালিত ও প্রাণপ্রিয় সংগঠন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে এবার পৌর নির্বাচন হওয়ায় এখানে ‘নৌকার পালে এবার সুবাতাস’ লেগেছে। সেই বাতাসে বৈতরণী পার হওয়া এবার আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর জন্য সহজ হবে বলেই ধারণা করছেন সচেতন মহল। আলাউদ্দিন আহমেদ/এসএস/এমএস

Advertisement