সালতামামি

ফিরে দেখা জানুয়ারি

২০১৫ সালের জানুয়ারি মাস ছিল নানা কারণে ঘটনাবহুল। সেই মাসে রাজনৈতিক সংকট ছিল প্রকট। অবরোধ আর আন্দোলনে উত্তাল ছিল রাজনীতির ময়দান। চলুন জেনে নেই ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের প্রতিটি দিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি।১ জানুয়ারি, ২০১৫১. বিশ্ববিদ্যালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তির আদেশ জারি এই দিনে স্থগিত করে সরকার।২.  হরতাল দিয়ে শুরু হয় নতুন বছর। জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিন ছিলো গত বছরের ১ জানুয়ারি।২ জানুয়ারি, ২০১৫১. এই দিনে ভারতের বিজেপি নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি সমর্থনের কথা জানান। ঢাকায় দলটির কেন্দ্রীয় নেতা তথাগত রায়ে এ কথা বলেন।২. এই দিনে বরিশালের উজিপুরে এক স্কুল শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।৩ জানুয়ারি, ২০১৫ ১. এই দিনে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থান নেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ২. বিএনপির নেতাকর্মীদের আটক শুরু করে সরকার।৪ জানুয়ারি, ২০১৫১. অব্যাহত থাকে ব্যাপক ধরপাকড়। ২. সারা দেশে জনমনে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক আতঙ্ক।৫ জানুয়ারি, ২০১৫১. ৫ জানুয়ারি সংঘাতে অশান্ত হয়ে পড়ে দেশ। নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ২. প্রেসক্লাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অবস্থানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।৬ জানুয়ারি, ২০১৫১. অবরুদ্ধ হয়ে দ্বিতীয় দিন পার করেন খালেদা জিয়া।২. একই দিনে আটক করা হয় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বেরিয়ে এলে তাকে আটক করা হয়।৭ জানুয়ারি, ২০১৫১. রাজনৈতিক সংকট থেকে সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ২. প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।৮ জানুয়ারি, ২০১৫১. এই দিনে আটক করা হয় বিএনপি নেতা শমসের মবিন চৌধুরীকে।২. সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে রেল যোগাযোগেও। বিছিন্ন হয়ে যায় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। ৯ জানুয়ারি, ২০১৫১. সংকটের মধ্যেই শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।২. বিভ্রান্তি তৈরি হয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আর ভারতের বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ`র ফোনালাপ নিয়ে। ১০ জানুয়ারি, ২০১৫১. এই দিনে সারা দেশে শুরু হয় চোরাগুপ্তা হামলা। ২. উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে দেশের ব্যবসায়ী সমাজ। ১১ জানুয়ারি, ২০১৫১.ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের থেকে পোড়া মানুষের মিছিল শুরু হয়।  ২. এইদিনে শেষ হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।১২ জানুয়ারি, ২০১৫১. ক্রিকেটের তিন ফরমেটে বিশ্ব সেরা নির্বাচিত হন বাংলাদেশের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।২. সন্ত্রাসী হামলার কারণে সেনা মোতায়েন করা হয় ফ্রান্সে।  ১৩ জানুয়ারি, ২০১৫ ১. গুলিবিদ্ধ হন সাবেক প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ উদ্দিন।২. প্রতিবাদে দু’দিনের হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। ১৪ জানুয়ারি, ২০১৫১. রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ শুরু করেন বিদেশি কূটনীতিকরা। ২. ভেঙে পড়ে দেশের পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা।১৫ জানুয়ারি, ২০১৫১.  বিজিবি কোনো কারণে আক্রান্ত হলে গুলি করবে বলে ঘোষণা করেন এর মহাপরিচালক। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় দেশজুড়ে।২.  বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আনতে যুক্তরাজ্যকে চিঠি দেয় সরকার। ১৬ জানুয়ারি, ২০১৫ ১. সংঘাত থামাতে চিঠি দেয় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন। ২. একই দিনে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।১৭ জানুয়ারি, ২০১৫১. রমনায় পুলিশের বাসে পেট্রলবোমা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ২. কালজয়ী গান ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’ গানের লেখক গোবিন্দ হালদার মারা যান।১৮ জানুয়ারি, ২০১৫১. শেষ হয় বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।২. নিরাপত্তার জন্য বন্ধ করা হয় ভাইভার, আবার চালুও করে দেয়া হয় এই দিনে। ১৯ জানুয়ারি, ২০১৫১. এই দিনে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হন খালেদা জিয়া। ২. নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকার বন্ধ করে দেয় হোয়াটস আপ, মাইপিপল ও লাইন। ২০ জানুয়ারি, ২০১৫১. নাশকতার ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচারের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২. জ্ঞাত আয় বহির্ভূত আয়ের মামলায় দায়মুক্তি পান সাংসদ শামীম ওসমান। ২১ জানুয়ারি, ২০১৫১. বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে মর্মে বিবৃতি দেয় মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ২. এই দিনে জাতীয় সংসদে বিএনপিকে নিঃশেষ করার নির্দেশ চান সাংসদ শামীম ওসমান। ২২ জানুয়ারি, ২০১৫১. এই দিনে নাশকতা উস্কে দেয় এমন খবর প্রকাশ না করার প্রতিশ্রুতি দেন টেলিভিশন মালিকরা। ২৩ জানুয়ারি, ২০১৫ ১. এই দিনে মারা যান সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ।২. ৫ বছরের জন্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইংলাক সিনাওয়াত্রা। ২৪ জানুয়ারি, ২০১৫১. এই দিনে মারা যান বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো।২. কোকোর মৃত্যুর খরব শুনে গুলশানে জিয়াকে দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু ভেতর থেকে ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়।২৫ জানুয়ারি, ২০১৫১. এই দিনে ভারত সফরে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ২. দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় আসেন নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট। ২৬ জানুয়ারি, ২০১৫১. জাতীয় সংসদে পাস হয় দেশের প্রথম মেট্রোরেল বিল। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এটি উপস্থাপন করেন। ২. নাশকতাকারীদের আটকে ব্যর্থ হয়ে ধরিয়ে দিতে উৎসাহিত করতে পুরস্কার ঘোষণা করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ২৭ জানুয়ারি, ২০১৫১. আরাফাত রহমান কোকোর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।২. হঠাৎ করেই এই দিনে বন্ধ করে দেয়া হয় ফেসবুক। ২৮ জানুয়ারি, ২০১৫১. নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।২. জাতীয় সংসদে উচ্চ আদালতের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়া রায়ের প্রসঙ্গ টেনে তিনি এই সমালোচনা করেন।২৯ জানুয়ারি, ২০১৫১. পর্দা ওঠে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের।২. বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতারের সমালোচনা করে এই পথ থেকে সরে আসতে সরকারকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।৩০ জানুয়ারি, ২০১৫১. সাংবাদিকদের জন্য ঝুঁকি ভাতা চালুর পক্ষে এই দিনে কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ২. খালেদার কার্যালয়ে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।৩১ জানুয়ারি, ২০১৫১. বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের।২. বিএনপিকে কর্মসূচি থেকে সরে আসার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এসএ/একে/জেডএইচ/এমএস

Advertisement