`পৃথিবীতে আপন বলে আমার কেউ নেই। শরীরে শক্তি ছিল, কাম করে আয় করতি পারতাম, তকুন সকলে ভালো জাইনতো। কিন্তু এহন নিজের ছাওয়াল-মিয়া থাহার পরও এক মুঠো খাওয়া জোটে না আমার।` এভাবেই নিজের দুঃখের কথা বলছিলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া গ্রামের মৃত. মফিজ উদ্দিনের ছেলে আফসার উদ্দিন ।বৃদ্ধ আফসার (৭১) আরও বলেন, `আমার কোনো জায়গা জমি ছিল না। শরীরে কাম করার মতো শক্তি নেই। আয় করতে পারিনে। যাদের জন্য জীবনের সব সময় শ্যাষ হইল তারাই এহন আমারে পর করেছে। সপ্তাহের ছুটির দিন ছাড়া প্রায় প্রতিদিনই ঝিনাইদহ শহরের সোনালি ব্যাংকের নিচে বসে অন্যের কাছে হাত পাততে হয়। যা পান তাই দিয়েই নিজের ওষুধ কিনে বাড়ি দিকে ফিরে যাই। এমনি ভাবে চলে আসছে দীর্ঘ দিন।`তিনি আরও বলেন, ছোট থেকে বড় হয়েছেন সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া গ্রামে। বিয়ে করেন গ্রামের সামিরন খাতুনকে। দাম্পত্য জীবনে এক মেয়ে জন্ম নেয়। তার নাম রাখা হয় সরেজান খাতুন। এরই কিছু দিনের মধ্যেই মারা যায় স্ত্রী সামিরন খাতুন। এরপর শিশু মেয়েকে নিয়ে চলছিল সংসার। লোকজনের পরামর্শে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সংসারে শুরু হয় অশান্তি। ছেলে আর স্ত্রীর নামে জায়গা জমি কিনতে বাধ্য হই। ছেলে বড় হয়, বিয়েও দেয়া হয়েছে। তার সংসার নিয়ে আলাদা হয়ে গেছে। নিজের স্ত্রীও ছেলের সঙ্গে রয়েছে। আর একলা পড়ে আছেন তিনি। এখন নিজের খাবার আর ওষুধের খরচ মেটাতে মানুষের কাছে হাত পাততে হচ্ছে তাকে।এসএস/এমএস
Advertisement