আন্তর্জাতিক

কান্দাহারে মসজিদে হামলায় নিহত বেড়ে ৪৭, দায় স্বীকার আইএসের

আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কান্দাহারে একটি শিয়া মসজিদে বোমা হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ জন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭০ জন। শুক্রবারের (১৫ অক্টোবর) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের আফগান শাখা (আইএস-কে)। খবর আল জাজিরার।

Advertisement

শুক্রবার কান্দাহারের বিবি ফাতিমা মসজিদে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটে। এটি ওই এলাকায় শিয়া মুসলিমদের সবচেয়ে বড় মসজিদ। তালেবানের সংস্কৃতি ও তথ্য বিভাগের কান্দাহার শাখার প্রধান হাফিজ সায়িদ হতাহতদের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।

আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কারি সায়িদ খোসতি টুইটারে বলেছেন, কান্দাহারে শিয়াদের একটি মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটেছে জেনে আমরা খুবই দুঃখিত। সেখানে আমাদের বেশ কয়েকজন স্বদেশী শহীদ ও আহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, তালেবানের বিশেষ বাহিনী ওই এলাকায় পৌঁছেছে। দুষ্কৃতদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।

ছবি: সংগৃহীত

Advertisement

হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই এর দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে আইএসের খোরাসান শাখা (আইএস-কে)। তারা জানিয়েছে, আইএসের আত্মঘাতী হামলাকারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রথমজন মসজিদের বারান্দায় আর দ্বিতীয়জন তার বিস্ফোরক ভেস্ট মসজিদের ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটায়।

মাত্র এক সপ্তাহ আগে আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর কুন্দুজের একটি মসজিদেও একই ধরনের হামলা চালিয়েছিল আইএস-কে। এতেও প্রায় অর্ধশত নিহত ও শতাধিক আহত হন।

শুক্রবারের হামলার এক প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা এএফপি’কে জানিয়েছেন, তিনি তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। একটি মসজিদের মূল দরজায়, একটি দক্ষিণ অংশে ও তৃতীয়টি অজুখানার দিকে।

মুর্তজা নামে এক আরেক প্রত্যক্ষদর্শী অবশ্য বলেছেন, চারজন আত্মঘাতী হামলাকারী এ ঘটনায় অংশ নিয়েছিল। দুজন মসজিদের গেটে বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর বাকি দুজন দৌঁড়ে ভেতরে গিয়ে মুসল্লিদের ভিড়ের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটায়।

Advertisement

ছবি: সংগৃহীত

ওই প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা এপি’কে জানিয়েছেন, জুমার নামাজে মসজিদটিতে সাধারণত ৫০০ জনের মতো মুসল্লি হাজির থাকেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে মসজিদের ভেতর অনেক লোককে আপাতদৃষ্টিতে মৃত অথবা রক্তাক্ত শরীরে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

হাসপাতাল সূত্রগুলো আল জাজিরাকে জানিয়েছে, বিস্ফোরণে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের অবস্থা দেখে আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

কেএএ/জিকেএস