করোনার টিকা নেওয়ার পর সুস্থ আছে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন স্কুলের ১২০ শিক্ষার্থী। এদের কারো শরীরে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
Advertisement
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) টিকা নেওয়া শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।
তবে দেশে প্রথমবারের মতো ১২-১৭ বয়সী শিশু-কিশোরদের টিকা দেওয়ার পর বাড়তি সর্তকতা নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তাদের পর্যবেক্ষণে গঠন করা হয়েছে চার সদস্যের মেডিকেল টিম।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) মানিকগঞ্জ পরীক্ষামূলক ভাবে ১২০ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় ফাইজার টিকা। ৭-১৪ দিন পর্যন্ত এ শিক্ষার্থীদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
Advertisement
শুক্রবার সকালে টিকা নেওয়া মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহিম ইসলাম অর্কের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পুরোপুরি সুস্থ আছে সে। কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়নি।
অর্কের বাবা রবিউল ইসলাম জানান- স্ত্রীসহ তিনি টিকা নিয়েছেন অনেক আগেই। এ কারণে অর্কের মধ্যেও টিকা নিয়ে অনেক আগ্রহ ছিল। টিকা নেওয়ার পর সে পুরোপুরি সুস্থ আছে।
একই স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী মশিউর রহমানও টিকা নিয়েছেন একই দিন। সে জানায়, টিকা নেওয়ার পর কিছুক্ষণ কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণে ছিল। এরপর বাসায় ফেরার পর মা-বাবাও তাদের পর্যবেক্ষণে রাখেন। কিন্তু কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। লেখাপড়াসহ দৈনন্দিন কার্যক্রম করছেন স্বাভাবিকভাবে।
টিকা নিয়ে সুস্থ আছে মানিকগঞ্জ এসকে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী আয়েশা খানও। সে জানায়, উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে টিকা কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। আমিসহ টিকা গ্রহণকারী সবাই সুস্থ আছে। চিকিৎসক-শিক্ষকরাও তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
Advertisement
আয়েশার বাবা মো. দিলশাদ আশরাফ খান জানান, প্রাপ্তবয়স্করা অনেক আগেই টিকার আওতায় এসেছে। বাকি ছিল শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে সরকার স্কুল খুলে দেয়। কিছুটা দুশ্চিন্তা নিয়েই ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতাম। এখন সরকার তাদেরও টিকার আওতায় আনায় ঝুঁকিমুক্ত হলাম।
মানিকগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মো. লুৎফর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার জেলার চারটি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলক ভাবে ফাইজার টিকা দেওয়া হয়। প্রথমবারের মতো এ টিকা শিক্ষার্থীদের দেওয়ায় তারা খুবই সর্তক রয়েছেন। তাদের পর্যবেক্ষণের জন্য চার সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
বি.এম খোরশেদ/আরএইচ/এএসএম