বরিশালের মুলাদী উপজেলায় জমি থেকে উচ্ছেদ করতে খাদিজা বেগম (৫০) নামে এক বিধবা নারীর খুপরিতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। এতে তার গাল এবং হাতের কিছু অংশ পুড়ে গেছে।
Advertisement
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তোভোগী ওই নারী।
খাদিজা বেগম উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মাদ সরদারের স্ত্রী।
তার অভিযোগ, প্রতিবেশী আলতাফ হাওলাদার ওরফে আলতাফ ও তার লোকজন বৃদ্ধার কয়েক শতাংশ জমি দখল নিয়েছেন। সেখানে আলতাফ হাওলাদার ও তার ছেলে মামুন হাওলাদার পাকা ভবন নির্মাণ করেছেন। ফলে তিনি বাড়ির এক কোণে খুপরিতে থাকেন। তারা সেখান থেকেও তাকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এরআগে তারা কয়েকবার খুপরি ভেঙে দেওয়ার হুমকিসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। তিনি ঘর নির্মাণের জন্য সরকারি টাকা বরাদ্দ পেয়েছিলেন। কিন্তু আলতাফ ও তার ছেলে সেই ঘর নির্মাণে বাধা দেওয়ায় টাকা ফেরত চলে গেছে।
Advertisement
খাদিজা বেগম আরও জানান, বুধবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়েছিলেন। রাত দেড়টার দিকে আগুনের তাপে তার ঘুম ভেঙে যায়। আগুন দেখে তিনি চিৎকার করলে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন এসে ঘরের বেড়া ভেঙে তাকে উদ্ধার করেন। আগুনে খাদিজা বেগমের গাল এবং হাতের কিছু অংশ পুড়ে গেছে।
আলতাফ হাওলাদার লোকজন তাকে জমি থেকে উচ্ছেদ করতে ব্যর্থ হয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মন্টু বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, অসহায় খাদিজা বেগম আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। তাকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে সব ধরনের সহায়তার কথা জানানো হয়েছে
তবে আলতাফ হাওলাদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খাদিজা বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আমার জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। বর্তমানে খাদিজা বেগম আমার জমিতেই খুপরিতে থাকছেন। কিন্তু খুপরি আগুন লাগার বিষয়ে কিছুই জানা নেই। জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকায় খাদিজা বেগম আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
Advertisement
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান জগো নিউজকে বলেন, ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। ওই বিধবা নারী লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাইফ আমীন/এসজে/জেআইএম