বগুড়ার সোনাতলা পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি ও গণসংযোগ করে আসছেন ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল কাশেম শেখ। জাতীয় পরিচয়পত্রও আছে তার। কিন্তু নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি যেন নিমেষেই শেষ হয়ে যায় তার। তিনি উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়ন ফরম কিনতে গিয়ে জানতে পারলেন ভোটার তালিকায় তিনি ১১ বছর আগেই মৃত! এ ঘটনায় নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হলেও কোনো সমাধান মেলেনি।
Advertisement
জানা গেছে, আগামী ২ নভেম্বর বগুড়ার সোনাতলা পৌরসভা নির্বাচন। গত ৪ অক্টোবর মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে উপজেলা নির্বাচন অফিস। সেখানে ফরম কিনতে যান ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও চমরগাছা গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্য আব্দুল কাশেম শেখ। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজে তার নাম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার নাম খুঁজে পাওয়া গেল মৃতের তালিকায়। ওই তালিকায় দেখানো হয়েছে ২০১১ সালে তার মৃত্যু হয়েছে। এজন্য ওই কাউন্সিলর প্রার্থী এবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছে উপজেলা নির্বাচন অফিস।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল কাশেম শেখের এনআইডি নাম্বার দিয়ে কম্পিউটারে সার্চ দিলে নো ডাটা ফাউন্ড লেখা দেখায়। তবে মৃতের তালিকায় রয়েছে তার নাম। নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ভুলবসত ২০১১ সালে তাকে মৃত দেখানো হয়েছে।
কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল কাশেম শেখ বলেন, বেঁচে থাকতেই আমাকে মৃত বানিয়েছে নির্বাচন অফিস। এ কারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারছি না। এখন কতদিনে জাতীয় পরিচয়পত্রে তাকে জীবিত দেখানো হবে সেটা নিয়েই চিন্তিত বলে জানান তিনি।
Advertisement
এ বিষয়ে সোনাতলা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আশরাফ হোসেন বলেন, যে কোনো ভুলের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। সংশোধনের আবেদন করলে এর সমাধান হবে। তবে এবারের মতো তিনি ভোট করতে পারবেন না। কারণ দ্রুত সময়ের মধ্যে বর্তমান হালনাগাদ তালিকায় তার নাম তোলা আর সম্ভব নয়।
ইএ