হোক তা ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট্ট ফরম্যাট, তারপরও বিশ্বকাপ। নামেই একটা অন্যরকম মাহাত্ম্য আছে। অথচ এমন এক মহাযজ্ঞ তথা ক্রিকেটের বড় মঞ্চে বাংলাদেশ দলের নেই কোনো টিম লিডার।
Advertisement
নির্বাচক হাবিবুল বাশার, সিনিয়র মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম আর ক্রিকেট অপস ম্যানেজার সাব্বির খানই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশনে টিম বাংলাদেশের অভিভাবক হিসেবে গেছেন। সঙ্গে একঝাঁক বিদেশি কোচিং স্টাফ তো আছেনই।
টিম বাংলাদেশের পুরো কোচিং স্টাফই ভিনদেশিদের দিয়ে গড়া। তারপরও মাঝে একটা রীতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল, দলের সাথে বোর্ডের সিনিয়র কাউকে টিম লিডার করে বিদেশে পাঠানো।
গত নিউজিল্যান্ড সফরে টাইগারদের দলনেতা হয়ে গিয়েছিলেন বিসিবি সিনিয়র পরিচালক ও মিডিয়া কমিটি চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। জিম্বাবুয়ে সফরে দলনেতা ছিলেন আরেক অন্তঃপ্রাণ ক্রিকেট সংগঠক ও বোর্ড পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি। শ্রীলঙ্কা সফরে দলের পরামর্শক ছিলেন বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন।
Advertisement
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠেও ছিলেন সুজন। অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে কোনো টিম লিডার ছিল না বাংলাদেশ দলের।
তবে কি ওমানে বাছাইপর্ব আর আরব আমিরাতের মূলপর্বেও বাংলাদেশ দল অভিভাবকহীন অবস্থায়ই থাকবে? বিশ্বকাপের মতো অত বড় মিশনে রিয়াদ-সাকিব-মুশফিকদের উৎসাহ জোগাতে কি তবে বোর্ডের শীর্ষকর্তারা কেউ যাবেন না? এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই উঁকি দিচ্ছে।
তাদের জন্য খবর, বাছাই পর্ব শুরুর আগেই ওমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, দুই পরিচালক আকরাম খান ও ইসমাইল হায়দার মল্লিক এবং বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনও ওমান অবস্থান করবেন।
বিসিবি প্রধান অবশ্য আজ (বুধবার) সন্ধ্যায়ই ঢাকা ছেড়েছেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এমিরেটসের ফ্লাইটে ঢাকা থেকে দুবাই রওয়ানা হয়েছেন পাপন। সঙ্গে তার স্ত্রী ও বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজনও গেছেন।
Advertisement
বিসিবি সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী দুবাইতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভায় যোগ দেবেন আগে। সেই সভা শেষ করে তারা চলে যাবেন ওমানে।
এদিকে ক্রিকেট অপরেশন্স চেয়ারম্যান আকরাম খান বৃহস্পতিবার দুবাই হয়ে ওমান যাবেন। আরেক পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক ওমান যাবেন ১৬ অক্টোবর।
এআরবি/এমএমআর/এএসএম