ধর্ম

অভিমান কত দিন করা যাবে?

জেদ বা অভিমান করে কথা না বলার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইসলাম এটিকে সমর্থন করে না। ব্যক্তিগত পরিবারিক কিংবা সামাজিক জীবনে রাগ-জেদ, মান-অভিমান ও ঝগড়া-বিবাদ হয়ে থাকে। শান্তির লক্ষ্যে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই তা মিটিয়ে ফেলা সুন্নাত ও কল্যাণের কাজ। কিন্ত এ জেদ-অভিমান কতদিন অব্যাহত রাখা যাবে? এ সম্পর্কে ইসলামের দিকনির্দেশনাই বা কী?

Advertisement

অভিমান তিন দিনের বেশি নয়। পারস্পরিক দ্বন্দ্ব বা প্রতিদ্বন্দিতা কিংবা ঝগড়াকে ইস্যু বানিয়ে দিনের পর দিন জেদ-অভিমান করে কথা না বলা অব্যাহত রাখা যাবে না। দুনিয়ার জীবনে চলতে গেলে কোনো না কোনো কারণে দ্বন্দ্ব, ঝগড়া, রাগ কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়ে থাকে। আর এ থেকেই সৃষ্টি হয় জেদ ও অভিমান। এসব ক্ষেত্রে ৩ দিনের বেশি জেদ বা অভিমান করে সম্পর্কহীন অবস্থায় থাকা ইসলামে নিষিদ্ধ। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিষয়টি সুস্পষ্ট করেছেন। কী এসেছে হাদিসে?

হজরত আবু আইউব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো মুসলিমের পক্ষে তার কোনো ভাইয়ের সঙ্গে তিনদিনের বেশি এমনভাবে সম্পর্কচ্ছেদ করে থাকা বৈধ নয় যে, তাদের দুইজনের দেখা সাক্ষাৎ হলেও একজন এদিকে, আরেকজন অন্যদিকে তাদের চেহারা ঘুরিয়ে নেয়। তাদের মধ্যে উত্তম ওই ব্যক্তি যে প্রথম সালাম করবে।’ (বুখারি)

এ হাদিসের আলোকে বিষয়টি সুস্পষ্ট যে, তিনদিনের বেশি জেদ বা অভিমান করে সম্পর্কহীন থাকা যাবে না। তিন দিনের বেশি অভিমান করা যাবে না। নির্ধারিত দিনের মধ্যেই সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে স্বাভাবিক সুসম্পর্ক তৈরি করার দিকনির্দেশনাই দেয় ইসলাম। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনটিই ঘোষণা দিয়েছেন।

Advertisement

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ৩ দিনের মধ্যে অভিমান থেকে বের হয়ে আসার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম