ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য পদ পাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পদত্যাগ করেছেন মুহিবুর রহমান মুহিব ও জাওয়াদ ইবনে জাহিদ খান।
Advertisement
জাওয়াদ সর্বশেষ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ও মুহিব সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এরমধ্যে জাওয়াদ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান ও মুহিব যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান গ্রুপের নেতা বলে জানা গেছে। বর্তমান কমিটিতে তারা দুজনই সভাপতি পদপ্রত্যাশী ছিলেন।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। ছাত্রলীগের কেন্দ্রী সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দুই কমিটির চার পদ অনুমোদন দেন।
একইসঙ্গে জাওয়াদ ইবনে জাহিদ খান, মুহিবুর রহমান মুহিব, বিপ্লব কান্তি দাস, কনক পাল অরূপ, হোসাইন মোহাম্মদ সাগর ও সঞ্জয় পাশী জয়কে কেন্দ্রীয় সদস্য করা হয়।
Advertisement
এ কমিটি ঘোষণার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পদ প্রত্যাখান করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেন মুহিবুর রহমান মুহিব।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আমাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য করায় সম্মানিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি এ বিশাল পদের যোগ্য নই। তাই আমি স্বেচ্ছায় এ পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম।’
আর জাওয়াদ ইবনে জাহিদ খান ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘প্রিয় সতীর্থ, সহযোদ্ধা শুভাকাঙ্ক্ষী সদ্য ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানতে পারলাম আমাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মনোনীত করা হয়েছে। আমি উক্ত সদস্য পদ প্রত্যাখ্যান করলাম।
রাজনীতি থেকে যখন অপরাজনীতি শক্তিশালী হয়ে যায় তখন আমার মতো কর্মীর কাছে প্রত্যাখ্যান করার ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় থাকে না। প্রিয়, সহযোদ্ধারা দেখা হবে রাজপথে...।’
Advertisement
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাওয়াদ ইবনে জাহিদ খান ও মুহিবুর রহমান মুহিব বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের পোস্টই আমাদের বক্তব্য।
ছামির মাহমুদ/আরএইচ/এমএস