স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, ‘চলতি সপ্তাহের মধ্যেই স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হবে। দেশের ২১টি জেলায় একযোগে ১২-১৭ বছর বয়সীদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’
Advertisement
তবে এ বিষয় এখনো লিখিত কোনো নির্দেশনা পায়নি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) মাউশির পরিচালক (স্কুল) বেলাল হোসাইন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি শুনেছি। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় লিখিত কোনো কিছু জানায়নি। লিখিতভাবে জানালে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। আশা করছি, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানাবে। আমরা সে হিসেবে সার্বিক সহযোগিতা করতে পারবো।’
এদিকে, শিক্ষার্থীদের সুস্থ রাখতে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ২৩-২৯ অক্টোবর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চালানো হবে। তার সঙ্গে ৩০ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ‘জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ’ পালন করা হবে।
Advertisement
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, সক্ষমতা অনুযায়ী সারাদেশের জেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে ২১টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে স্কুল শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, চলতি সপ্তাহে আমরা টিকাদান শুরু করতে পারবো।
প্রাথমিকভাবে আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে অধিদফতর। মহাপরিচালকের আশা, এক্ষেত্রে আমরা একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থীকে টিকা দিতে পারবো।
ডা. খুরশীদ আলম উল্লেখ করেন, স্কুল শিক্ষার্থীদের তালিকা সরবরাহ করবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আমরা সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মে তাদের বিস্তারিত তথ্য দিয়ে দেবো।
মহাপরিচালকের কথায়, আমরা যেকোনো টিকা দেওয়ার আগে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালাই। ৫০-১০০ জন নিয়ে যেটুকু পারি, তা দিয়ে প্রাথমিকভাবে কাজ হবে। তাদের দিয়ে আমরা পর্যবেক্ষণ করবো। এরপর বড় আকারে টিকা দেবো। এটা তো চাইলেই হবে না, জায়গা পেতে হবে। লোকবলের বিষয়ও আছে বলে জানান।
Advertisement
এমএইচএম/এএএইচ/এএসএম