একটা আন্দাজ ফিরে এলো
Advertisement
যতবার চোখদুটো বেচতে যাই।
ততবার দেখি নাচের ঝুমুর থেকেকমলা শিস বেরিয়ে আসছে।চড়ুই চুম্বনে-প্লাবিত মৌখিক গানসুনসান বিছানো-খুনসুটি আলো!জীবনের শেষ পাতায় মুড়িয়েরাখার মতো শ্রেষ্ঠ সঞ্চয় অনেকঅঙ্কুরোদগম পরিচিত দেহপল্লি
প্রথমত নগরে বিরতিহীন মানুষেরদেখা পেয়ে একটা আন্দাজ ফিরেএলো, ঝুঁকে পড়ল মধুমেহ উদযাপনসন্ধের চা কাপে নিস্তরঙ্গ চুমুকেপাঠচুক সেরে নিই বাসি পোস্টার—কায়দা করে বাঁচো। পৃথিবীর সঙ্গে;
Advertisement
সেখানে ভেসে যাচ্ছি। স্নায়ু মাতৃক!
****
জমাট বাঁধা গর্ব
আমারও স্বপ্ন হাসে, সম্ভবনা দেখলে।
Advertisement
এখন দিন কাটে অন্যরকম ভাবেআশ্বিনের সকালে গর্ব সাজায়ে রাখিরুটিন করে, বেডরুমের জানালায়মত প্রকাশে সিংহ জীবন উড়ছে
দুটি চড়ুই দম্পতি শালবীথি চিৎকার—বেচতেছে, এমন রাহাজানি ভাবনাবড্ড মধুর স্বাদ এনে দিতে পারে!নগরে প্রস্ফুটিত মানুষের কোলাহলসে একটা উত্তাল নদী দেখা যায়—শেকড়ে বন, উর্বর-মাঠ, মাঠের শস্যচা কাপে সাজানো সুদক্ষ চুমুকএমন জীবনের জাগরণ তৃষ্ণায় ওড়ে!
****
একা হেসে উঠি
একা হেসে উঠি। এবং বিরতিহীনগান শুনছি, নেমে আসে ঘোর—
ভাবছি কী লিখব, নগর কেবিনে বসে
তাঁহার দেহতল্লাটে উর্বর পলিলবণের স্বাদে উড়ছে সারা সন্ধে!হোটেলে নান রুটি, মোরগ পোলাওচা-কফি নিমগ্ন ঝুঁকে আছেনতুন স্বপ্ন, স্বপ্নের ভেতরে সিরিজ;অপেরা শরণার্থী, স্বাধীনতাকামীরাতপোকা প্রাণি মালিকানাধীন হতেপ্রায় একা কাটে, প্রায় স্বপ্ন ভাঙে!মানুষের সঙ্গ পেতে সম্পর্ক খরচাকরতে হয়। হু, আত্মস্নায়ু বেচে দিইমাটির কাছে শিকড়-শস্য নিয়ে যেতে!
এসইউ/জেআইএম