আইন-আদালত

হাইকোর্টে জামিন চাইলেন বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী

নাশকতার অভিযোগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাজধানীর কোতোয়ালি ও শাহবাগ থানায় ২০১৩ সালে দায়ের করা দুই মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

Advertisement

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আসলাম চৌধুরীর পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।

রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় নাশকতার অভিযোগে ২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল এবং বাবুবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে নাশকতার অভিযোগে ওই বছরের একই মাসের ২৩ এপ্রিল মামলা দুটি হয়। এ দুই মামলায় আসলাম চৌধুরীকে শ্যোন অরেস্ট দেখানো হয়েছিল।

এর দীর্ঘদিন পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে এ দুই মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তিনি।

Advertisement

এর আগে ভারতে গিয়ে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এক কর্মকর্তার সঙ্গে ‘সরকার উৎখাতের’ জন্য আলোচনা করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

২০১৬ সালে দিল্লি ও আগ্রার তাজমহল এলাকায় ইসরায়েলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির প্রধান লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা-সাক্ষাতের বেশকিছু ছবি প্রকাশিত হলে দেশ-বিদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

২০১৬ সালের ১৫ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরী ও তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. আসাদুজ্জামান মিয়াকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর)। পরে তাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরদিন ১৬ মে ৫৪ ধারায় (মোসাদ কানেকশনে সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্রের সন্দেহ) গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের দু’জনের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর ওই বছরের ২৬ মে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দায়ের করা হয় রাষ্ট্রদ্রোহি মামলা। দণ্ডবিধির ১২০ (বি), ১২১ (৩) ও ১২৪ (এ) ধারায় ডিবির পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পরে ওই মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন।

Advertisement

এফএইচ/এমআরআর/এএসএম