খেলাধুলা

আগের চেয়ে এবার প্রস্তুতি ভালো : সুমন

প্রথমে কথা ছিল একজন নির্বাচক যাবেন দলের সঙ্গে; কিন্তু শেষ অবধি বদলেছে সিদ্ধান্ত। এখনকার খবর, দু’জন নির্বাচক গেলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ৩ অক্টোবর প্রথম বহরের সাথে ওমান গেলেন হাবিবুল বাশার সুমন। যতদুর জানা গেছে, তিনি ওমানে প্রাথমিক পর্বে দলের সাথে থাকবেন। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু যাবেন পরে। জাগোনিউজের সাথে আলাপে নান্নু জানিয়েছেন, পারিবারিক কারণে তার যেতে বিলম্ব হওয়ার কারণ। তার আগে অপর নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন দলের সফর সঙ্গী হলেন।

Advertisement

দলের সঙ্গে ওমান যাওয়ার আগেই জাগোনিউজের সঙ্গে কথা হলো নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের সঙ্গে। বিশ্বকাপে কেমন করতে পারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল? এবারের দল নিয়ে তিনি কতটা আশবাদী? প্রস্তুতিটা কেমন হয়েছে? শেরে বাংলার স্লো ও লো পিচে অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের সাথে ১০টি ম্যাচ খেলে ওমান এবং আরব আমিরাতে গিয়ে কোনো অসুবিধা হবে কি না? তামিম নেই, ওপেনিংয়ের নড়বড়ে অবস্থা- এসব নিয়ে জাগো নিউজের সাথে খোলামেলা কথা বলেছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন।

জাগো নিউজ: এবারের দল নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?সুমন: আশা তো আছে অবশ্যই। কঠিন খেলা হবে। টাফ কম্পিটিশন ফেস করতে হবে আমাদের।

জাগো নিউজ: আপনার কি মনে হয় প্রস্তুটিটা ভাল হয়েছে?

Advertisement

সুমন: হ্যাঁ, আমার মনে হয় আমাদের প্রস্তুতিটা ভাল হয়েছে। এর আগে যখন ওয়ার্ল্ডকাপে আমরা খেলতে গেছি, তখন আমাদের দল খুব বেশি ম্যাচ খেলে যায়নি। আমাদের প্লেয়াররা এমনিতেই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ কম খেলে। আর সাকিব ও মোস্তাফিজ ছাড়া এমনিতেই কেউ বেশি খেলে না। এমনকি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটও খুব বেশি খেলা হয় না তাদের।

টি টোয়েন্টি খেলার ক্ষেত্রে আমরা অনেক পিছিয়ে ছিলাম। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আমরা অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছি এবং বেশ ভাল ম্যাচ প্র্যাকটিস করেই আমরা বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছি।

জাগো নিউজ: কিন্তু অনেকেরই মত শেরে বাংলার স্লো এবং লো ও খানিক টার্নিং উইকেটে খেলে নাকি ক্ষতি হয়েছে। আপনার কী মত?

সুমন: আমাদের এখনো অনেক উন্নতি করতে হবে। তবে এই ওয়ার্ল্ডকাপের প্রস্তুতিটা অন্য যে কোন বিশ্বকাপের চেয়ে ভাল হয়েছে বলে আমার ধারণা। আমরা দল হিসেবে একটা ইউনিট নিয়ে তিন তিনটি সিরিজ খেলে যাচ্ছি। যেটা ডেফিনেটলি আমাদের বিশ্বকাপে ভাল খেলতে এবং ভাল করতে সাহায্য করবে।

Advertisement

ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে, আমার ধারণা সবাই আইপিএল দেখছে। আইপিএল যদি দেখে থাকেন তাহলে দেখবেন, বুঝবেন উইকেট অনুযায়ী কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি ভাল হয়েছে। আইপিএলে এবার যে উইকেটে খেলা হচ্ছে তার অবস্থাও কিন্তু খুব ভাল নয়। সবাই ধরে নিয়েছিলেন উইকেট হবে ফ্লাট, নির্ভেজাল ব্যাটিং স্বর্গ। ২০০ প্লাস রানের খেলা হবে।

আমার মনে হয় আইপিএলে যে ধরনের ইইকেটে খেলা হচ্ছে মোটামুটি এমন উইকেটেই খেলা হবে বিশ্বকাপে। আইপিএলের উইকেটে গড়পড়তা ১৫০ রান হচ্ছে। ১২৭ রানের ম্যাচও হয়েছে। ১৩০ এর নীচেও থাকছে অহরহ। উইকেট খুব যে ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি হবে তা নয়। বরং একটু স্লো’ই থাকবে। একটু আধটু টার্নও হবে। স্পিন ফেবার হবার সম্ভাবনা বেশি। সে ক্ষেত্রে মনে হয় আমাদের প্রস্তুতি খারাপ না।

জাগো নিউজ : তামিম নেই, ওপেনিংয়ে নড়বড়ে অবস্থা। টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকরা কী চিন্তিত?

সুমন : আমরা এটা নিয়ে আর কোন আলাপে যেতে নারাজ। আমাদের আর বিকল্প চিন্তা নেই। দলে যে ওপেনাররা আছে, তাদের নিয়েই ভাবছি। তাদের নিয়েই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সন্দেহ নেই তামিম থাকলে ভাল হতো। এখন যেহেতু তামিম নেই, তাই তাকে নিয়ে আর ভাবার কিছু নেই। এখন দলে যারা আছে তাদের নিয়েই ভাবছি। আর তাদের নিয়েই যত পরিকল্পনা আমাদের।

জাগো নিউজ : সাকিব ও মোস্তাফিজের আইপিএল খেলা এবং তারপর দলে যোগ দেয়া কতটা ইতিবাচক ও সহায়ক হবে বলে আপনি মনে করেন?

সুমন : সাকিব আর মোস্তাফিজ দলে থাকা অনেক বড় ব্যাপার। তারা দু’জন দলের খুব গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার। সাকিব ওয়ার্ল্ডক্লাস। আর মোস্তাফিজ এখন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বিশ্বের তিনজন বোলারের একজন। তাই ওদের দলে থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

আমার কাছে মনে হয় আইপিএল খেলছে। কন্ডিশন কেমন জানতে পারছে। বুঝতে পারছে। এগুলো প্লাস পয়েন্ট। এছাড়া আমাদের কম্পিউটার অ্যানালিস্টও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে কাজ করেছে। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক।

মাঠ নিয়ে আমরা আগাম ধারনা পাব, এটা আমাদের জন্য অ্যাডভান্টেজ। তবে তারচেয়ে বড় অ্যাডভান্টেজ হলো- আরব আমিরাতের বিভিন্ন মাঠে আইপিএলে যে রকম উইকেট দেখছি, তেমন উইকেট হলেই আমাদের অনেক ভালো হবে।’

 

এআরবি/আইএইচএস