ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় শাড়ি কিনে না দেওয়ায় স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে দিথি রাণী (১৮) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে তাকে হত্যা করে মরদেহ ঝোলানো হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের।
Advertisement
সোমবার (১১ অক্টোবর) দিনগত রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মৃত দিথি রাণী উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে নাপিতপাড়া গ্রামের ভমর রায়ের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই মাস আগে বড় বোনের দেবর রাজমিস্ত্রি ভমর রায়ের সঙ্গে ভালোবেসে বিয়ে হয় দিথি রাণীর। রোববার ভূল্লী বাজারে স্বামীর সঙ্গে কেনাকাটা করতে যান তিনি। এসময় দামি শাড়ি কিনতে চান দিথি। কিন্তু স্বামী শাড়ি কিনে না দেওয়ায় বাসায় গিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।
বাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়লে মধ্যরাতে দিথি শোয়ার ঘরে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেন। তার স্বামী ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রংপুরে রেফার করেন। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
Advertisement
দিথির বাবা-মায়ের দাবি, তাদের মেয়েকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. রাকিবুল ইসলাম চয়ন জাগো নিউজকে বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ঘণ্টাখানেক পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, গৃহবধূর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো রাখা হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তানভীর হাসান তানু/এসজে/এএসএম
Advertisement