যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ডুমুরখালী গ্রামের কলেজছাত্র সবুজ হত্যার ১০দিন পার হলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। নিহত সবুজ ডুমুরখালী গ্রামের আকবর হোসেনের ছেলে ও ঝিকরগাছার বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র। পরিবারে অভিযোগ, মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। আর এখন একটি বিশেষ মহল মামলাটি ভিন্নখাতে প্রভাবের চেষ্টা করছে।নিহত সবুজ হোসেনের বাবা আকবর হোসেন বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে সবুজের সঙ্গে একই গ্রামের রুহুল আমিন বুলুর ছেলে জসিমউদ্দীন ও তার ভাই মেহেদী হাসান ওরফে ছদরউদ্দীনের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে জসিম মোবাইল ফোনে সবুজকে হত্যার হুমকি দেয়। ওইদিন বিকেলে সবুজ একই গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে রাকিব হোসেন ওরফে আওয়ালুলকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ডুমুরখালী বাজার এলাকার দাখিল মাদরাসার কাছে যায়।এ সময় সেখানে থাকা জসিম ও ছদরউদ্দীন সবুজের ঘাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। মারাত্মক আহত সবুজ মাটিতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার দু’দিন পর নিহত সবুজের মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে মণিরামপুর জসিমউদ্দীন ও তার ভাই মেহেদী হাসান ওরফে ছদরউদ্দীনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত সবুজ হোসেনের বাবা আকবর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, হত্যাকারীরা এলাকায় মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সেবনসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাদের সেই সমস্ত কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় সবুজকে তারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আর এখন হত্যাকারীরা প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় অবস্থান নিয়ে মামলাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। ঘটনার পর প্রায় দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও এখনও কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই লৎফুল কবীর বলেছেন, মামলার আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।মিলন রহমান/এসএস/আরআইপি
Advertisement