খেলাধুলা

দুর্দান্ত অভিষেক পাওয়া নেপালের বিপক্ষে টাইগারদের সহজ জয়

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেয়ে নিজেদের অভিষেকটা জয়ে রাঙিয়েছিলো নেপাল। আরেক সহযোগী সদস্য দেশ হংকংকে মাত্র ৬৯ রানে অলআউট করে দিয়ে ৮১ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছিলো পরশ খাড়কার দল। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবার খেলতে এসে প্রথম ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসী ছিলো নেপাল।

Advertisement

কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই তাদের বাস্তবতা দেখিয়ে দেয় বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচটি ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতে নেয় স্বাগতিকরা, তখনও বাকি ছিলো ২৭টি বল। ব্যাট-বল হাতে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স উপহার দেন সাকিব আল হাসান। ১৮ মার্চ তারিখে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ৫ উইকেট হারালেও ১২৬ রানের বেশি করতে পারেনি নেপাল। জবাবে মাত্র ১৫.৩ ওভারেই ম্যাচ জিতে নিয়েছিলো বাংলাদেশ।

কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপে এটি ছিলো বাংলাদেশের তৃতীয় জয়। মজার বিষয় হলো, আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় জয়ের ম্যাচের মতো, এই ম্যাচটিও ছক্কা মেরেই শেষ করে টাইগাররা। এবার ছক্কার মাধ্যমে উইনিং শটটি নেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

নেপালকে ১২৬ রানে আটকে রাখার পর ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচায় ২ উইকেট নেন আলআমিন হোসেন। অন্য দুই পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজা ও ফরহাদ রেজা নেন ১টি করে উইকেট। কিপটে বোলিংয়ে সাকিব নিজের ৪ ওভারে খরচ করেন মাত্র ২২ রান।

Advertisement

ব্যাট হাতে নেপালের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন পরশ খাড়কা, শারদ ভেসাকার খেলেন ৪০ রানের ইনিংস। এছাড়া জ্ঞানেন্দ্র মাল্লা ১৩ ও সাগর পুন করেন ১২ রান।

পরপর দ্বিতীয় ম্যাচ ছোট লক্ষ্য পেয়ে আত্মবিশ্বাসী শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। উদ্বোধনী জুটিতে ৭.৫ ওভারে আসে ৬৩ রান। তামিম আউট হন ২২ বলে ৩০ রান করেন। এনামুলের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ বলে ৪২ রানের ইনিংস।

ইনিংসের ১১তম ওভারের মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনারই। তবে বাকি পথ পাড়ি দিতে সমস্যা হয়নি সাব্বির রহমান ও সাকিব আল হাসানের। সাব্বির ২০ বলে ২১ ও সাকিব ১৮ বলে ৩৭ রানের ঝড় তুলে ১৫.৩ ওভারেই ম্যাচ শেষ করে দেন।

স্কোরকার্ডনেপাল: ১২৬/৫ (২০ ওভার; সুবাস ৮, সাগর ১২, জ্ঞানেন্দ্র ১৩, পরশ ৪১, শারদ ৪০, বিনোদ ০*; মাশরাফি ৪-০-২৩-১, আলআমিন ৪-০-১৭-২, ফরহাদ ৩-০-২৭-১, সাকিব ৪-০-২২-০, নাসির ৩-০-২২-০, রাজ্জাক ২-০-১২-০)

Advertisement

বাংলাদেশ: ১৩২/২ (১৫.৩ ওভার; তামিম ৩০, এনামুল ৪২, সাব্বির ২১*, সাকিব ৩৭*; সোমপাল ২-০-২১-০, পরশ ৩-০-২৩-০, শক্তি ৪-০-৪০-০, জিতেন্দ্র ২-০-১৬-০, বসন্ত ৩-০-১৪-১, সাগর ১.৩-০-১৬-০)

ফলাফল: বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ীম্যান অব দ্য ম্যাচ: আলআমিন হোসেন (বাংলাদেশ)

এসএএস/আইএইচএস/