ওজন কমানো কোনো রসিকতার বিষয় নয়। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন কমানোর জন্য প্রেরণা, ধৈর্য ও সময় প্রয়োজন। যা অনেকের মধ্যেই নেই। সবাই চায় দ্রুত ওজন কমাতে।
Advertisement
এজন্য দ্রুত ওজন কমানোর আশায় ক্র্যাশ ডায়েট ও কঠিন শরীরচর্চার দিকে ঝুঁকেন। তবে দ্রুত ওজন কমানো মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। বরং ওজন দ্রুত কমলেও তা আবারও বেড়ে যেতে সময় লাগে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সময় নিয়ে ওজন কমানো উচিত। এতে পরবর্তীতে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কমে। দ্রুত ওজন কমানো মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। এর ফলে আপনি বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যার সম্মুখীন হবেন।
অনেকেই এক মাসে ৭-৮ কেজি পর্যন্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলেন। তবে কখনও কি ভেবে দেখেছেন, এক মাসে কত কেজি ওজন কমানো স্বাস্থ্যসম্মত?
Advertisement
প্রথমে মনে রাখবেন, শরীরের ওজন কখনও আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অবস্থা জানান দেয় না। যদিও বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী আদর্শ ওজন বজায় রাখা উচিত।
তবুও যদি আপনার ওজন কিছুটা বাড়তি থাকে, তার মানে এই নয় যে আপনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। আপনার বাড়তি ওজন কমানোর জন্য অবশ্যই সময় নিয়ে ডায়েট ও শরীরচর্চা করতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে প্রায় ০.৫ কিলো ওজন কমানো আদর্শ। অর্থাৎ মাসে ২ কেজি ওজন কমানো স্বাস্থ্যসম্মত। এজন্য নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।
এক মাসে যদি আপনি দেড় থেকে আড়াই কেজি কমাতে পারেন তাহলে সেটি আদর্শ বলে বিবেচিত। এর চেয়ে বেশি ওজন কমনোর অর্থ হলো আপনি বেশি শরীরচর্চা বা ক্র্যাশ ডায়েট করছেন।
Advertisement
এর ফলে আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ, বিশেষ করে কিডনিতে চাপ পড়ছে। ওজন কমানোর সময় অনেকেই উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খায়। যা কিডনিতে আরও বেশি চাপ দেয়।
আপনি যদি এক মাসে ৫ কিলো বা তার বেশি হারাতে থাকেন, তাহলে দুর্বল, ক্লান্ত, অলস ও বমি ভাব হতে পারে। যদি এমন সমস্যায় পড়েন তাহলে ডায়েটের দিকে আবারও নজর দিতে হবে।
বেশি সমস্যা হলে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে। অন্যদিকে যখন আপনি স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমাবেন তখন ভেতর থেকেই সুস্থ বোধ করবেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/জেআইএম