অজন্তা মেন্ডিসের কথা মনে আছে? আপামর ক্রিকেটপ্রেমীর কাছে রহস্যঘেরা এই স্পিনারের নাম ভোলার মতো নয়। অল্প কয়েক বছরের ক্যারিয়ার হলেও, অজন্তা তার রহস্যময় স্পিন দিয়ে বিশ্ব শাসন করেছেন। এই অফ-স্পিনার আবিষ্কার করেছিলেন ক্যারম বলও। যে বল এখনো যেন ধাঁ ধাঁ হয়েই রয়েছে ব্যাটারদের জন্য।
Advertisement
শুধু মেন্ডিস কেন, শ্রীলঙ্কা যেন রহস্য স্পিনার তৈরির কারখানা। মুত্তিয়া মুরালিধরন, মাঝে মেন্ডিস এখন ভানিন্দু হাসারাঙ্গাসহ আরো কত নাম। তবে নতুন এমন আরেক স্পিনারকে সম্প্রতি খুঁজে বের করেছে লঙ্কানরা। মহেশ থিকসানা নামের ওই অফ-স্পিনারকে নিয়ে লঙ্কানরা এতটাই আশাবাদী যে, দলটির অধিনায়ক দাসুন শানাকা বলেই বসেছেন, থিকসানাকে খেলা সবার সাধ্যে কুলাবে না।
বিশ্বকাপের দল ঘোষণার ক’দিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে অভিষেক হয় থিকসানার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে রহস্যময় স্পিনার হিসেবে নিজের নামের প্রতি করেন সুবিচার, গড়েন রেকর্ড। নিজের শক্তির জায়গা অফব্রেক, ক্যারম বল ও গুগলি দিয়ে ২১ বছর বয়সী থিকসানা প্রথম ম্যাচেই নেন ৪ উইকেট। ওয়ানডে অভিষেকে কোনো লঙ্কান বোলারের জন্য এখন পর্যন্ত যা সেরা কীর্তি। অথচ টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট হিসেবে তাকে দলে নেয়া হয়েছিল।
ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করে লঙ্কান বোর্ডের নজরে আসেন থিকসানা। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের আগে লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে ১১ ম্যাচে মাত্র ১৬.১৫ গড়ে শিকার করেছেন ১৯টি উইকেট। বৈচিত্রে ভরপুর এ স্পিনারের কাছ থেকে এখন চাওয়া-পাওয়া বেশি লঙ্কানদের। বিশ্বকাপে রহস্যময় স্পিনে থিকসানা নিজেও চাইবেন প্রতিপক্ষকে চমকে দিয়ে। স্পিন বিষে সবাইকে নিল করতে।
Advertisement
এবারের বিশ্বকাপে অনেক তরুণ ক্রিকেটারকে ঘিরেই দল সাজিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপগামী দলে রয়েছেন ভানিন্দু হাসারাঙ্গা, প্রাবিন জয়াবিক্রমা, কামিন্দু মেন্ডিসরা। তবে শ্রীলঙ্কার বড় তুরুপের তাস-উদীয়মান তারকা থিকসানা।
২১ বছর বয়সী এই রহস্য স্পিনারকে নিয়ে লঙ্কান অধিনায়ক শানাকার কথাতেই বোঝা যাচ্ছে তার ওপর কতটুক আস্থা রেখে আমিরাত বিশ্বকাপ খেলবে শ্রীলঙ্কা, ‘তাকে পড়া সহজ নয়, কারণ অফস্পিনের পাশাপাশি এখন তার গুগলি ও ক্যারম বলও আছে। এত বৈচিত্র্য থাকায় কোনো দলের জন্যই তাকে বুঝে ফেলা সহজ হবে না। এরকম স্কিল আছে বলেই, তাকে আমরা খেলিয়েছি। তাকে বোঝা কঠিন, শুধু এটাই তার বিশেষত্ব নয়। তার স্কিলও আছে।’ এসএস/আইএইচএস/