অভিজ্ঞতার খাতিরে হোক কিংবা সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায়, এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া একাদশে নিয়মিত খেলার কথা অ্যাডাম জাম্পার। তবে যদি কোনো কারণে একাদশ থেকে ছিটকে পড়েন তিনি এবং দলে থাকা মিচেল সোয়েপসন সুযোগ পান, তবে চমক হয়ে ধরা দিতে পারেন এই লেগ স্পিনার। সদ্যই ২৭ বছরে পা দেয়া সোয়েপসন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ৭টি। তবুও অসি দল তাদের বিশ্বকাপ বহরে যোগ করেছে এই লেগিকে। সেটা জাম্পার বিকল্প হিসেবেই।
Advertisement
সোয়েপসনের বিকল্প হওয়া এবারই প্রথম নয়। ২০১৭ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকের পর অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে তার ডাক পড়ে সে বছরেই। তবে সেবার ভারতের বিপক্ষে সিরিজে অভিষেক হয়নি তার।
পরে একই বছর বাংলাদেশ সফরের টেস্ট দলেও তাকে রেখেছিল অসিরা, ওই বিকল্প হিসেবেই। ফলে তাকে বসে থাকতে হয় ড্রেসিংরুমেই। এর মাঝে ২০১৮ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অভিষেক হয়ে গেলেও, অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহ্যবাহী ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ আর মাথায় তোলা হয়নি তার।
অথচ এই লঙ্গার ফরম্যাটেই দুর্দান্ত সোয়েপসন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট দিয়েই অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকদের নজরে পড়েছিলেন তিনি। সেটাও মাত্র ১৪ ম্যাচ খেলে। লেগ স্পিনার হওয়ার সুবাদে ধারাবাহিক উইকেট পকেটে পুরতে থাকেন তিনি। ২০১৫-১৬ শেফিল্ড শিল্ড মৌসুমে সোয়েপসন ৬ ম্যাচে তুলে নেন ১৭ উইকেট। এরপরই অস্ট্রেলিয়া এ দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান। দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দল ও ভারতীয় ‘এ’ দলের বিপক্ষে তিনটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ১৯ গড়ে ১৪ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।
Advertisement
তর্কসাপেক্ষে সর্বকালের সেরা স্পিনার শেন ওয়ার্নও সোয়েপসনের বোলিং দেখে তার প্রশংসা না করে পারেননি। বিগ ব্যাশে ব্রিসবেন হিটের হয়ে তার পারফরম্যান্স দেখে ওয়ার্ন নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছিলেন। তখনই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সোয়েপসনকে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের জন্য বিবেচনা করতে শুরু করে। তাই তো এখন পর্যন্ত, টেস্ট কিংবা ওয়ানডে-কোনো ফরম্যাটেই খেলার সুযোগ মেলেনি তার।
ছয় বছরের পেশাদার ক্যারিয়ার, তিন বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার- তবুও সম্ভাবনাময় হয়েই আছেন সোয়েপসন। সেটা জাতীয় দলে সুযোগ পান না বলেই। বিশ্বমঞ্চে এবার যদি কোনো সুযোগ পেয়ে যান, তবে এবার সেটা লুফে নিতেই হবে সোয়েপসনকে। নয়তো, উদীয়মান তারকার খ্যাতিতেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করতে হবে তাকে।
এসএস/আইএইচএস/
Advertisement