কক্সবাজারের লবণ সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে লবণ মিল মালিকরা। এতে বন্ধ হতে চলেছে খুলনার লবণ মিলগুলো। বর্তমানে চালুকৃত ৬টি মিল সপ্তাহে ৩/৪দিন চালু থাকলেও ব্যাংকের দেনার দায়ে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন খুলনার লবণ মিল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। সমিতির পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফি আহম্মেদ বাবলা। সম্মেলনে বলা হয়, বিসিকের হিসাব অনুযায়ী দেশে প্রতি বছর ২২ লাখ মেট্রিক টন লবণের প্রয়োজন। কিন্তু উৎপাদন হয় মাত্র ১২ লাখ মেট্রিক টন। ১০ লাখ টন ঘাটতি মোকাবেলা করার জন্য বাইরে থেকে ক্রড লবণ আমদানি করা প্রয়োজন। কিন্তু সরকার সেই আমাদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে। দশ লাখ টনের স্থলে মাত্র এক লাখ টন আমদানি করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় থুব কম। সম্মেলনে আরও বলা হয়, দেশে বর্তমানে লবণের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু উৎপাদন বাড়েনি। কক্সবাজারে যেখানে উৎপাদন হয় সেখানে জমির পরিমাণও কমেছে। তার উপর সেখানকার চাষি সমিতির সিন্ডিকেট প্রভাব খাটিয়ে লবণ আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফলে সাড়ে ৪ শত টাকার লবণ এখন ১১ শত টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। তাতেও ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। শতভাগ আমদানি শুল্ক দিয়েও সরকার আমাদের লবণ আমদানি করতে অনুমতি দিচ্ছে না।সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-সমিতির সভাপতি অনিল পোদ্দার, সদস্য ওমর ফারুক, নেহাল আহম্মদ, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।আলমগীর হান্নান/এসএস/এমএস
Advertisement